সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতিশোধ, না প্রত্যাঘাত? ইরানে আচমকাই ‘সাইবার-আক্রমণ’। তেহরানের অধিকাংশ গ্যাস-স্টেশনই এক ধাক্কায় বিকল! অন্তত ৭০ শতাংশ গ্যাস পাম্প কাজ করছে না বলে খবর ইরানের জাতীয় সংবাদমাধ্যমের। অথচ কারণ কী, তা অস্পষ্ট। অভিযোগের তির ‘প্রিডেটরি স্প্যারো’ (গঞ্জেশকে দারান্দে) নামে একটি হ্যাকিং দলের দিকে, যার যোগসূত্র রয়েছে ইজরায়েলের সঙ্গে। শুধু তাই নয়, ‘সাইবার-অ্যাটাক’ ঘটানোর পর ফার্সি এবং ইংরেজিতে ‘প্রিডেটরি স্প্যারো’-র বার্তা, ‘‘খামনেই, তুমি আগুন নিয়ে খেলছ। এর মূল্য তো চোকাতেই হবে। ইসলামিক রিপাবলিক আর তার সঙ্গী জেহাদিরা যে আগ্রাসন দেখিয়েছে, এই সাইবার-আক্রমণ তার জবাব।’’
স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। একাধিক গ্যাস স্টেশন এক ধাক্কায় বিকল হয়ে যাওয়ার খবর জানতে পেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তেহরানবাসী। গোটা ঘটনাটি আদপে ‘সফটওয়্যার-জনিত সমস্যা’ বলে জানায় ‘দ্য টাইমস অফ ইজরায়েল’।
এদিকে, গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েল-হামাস লড়াই শুরু হওয়ার পর থেকে এই প্রথম রবিবার, ইজরায়েলের তরফে খোলা হল কেরেম-শ্যালোম ক্রসিং। এই ক্রসিং পড়ে ইজরায়েল-গাজা ও মিশরের সীমানায়।গাজাবাসীকে আরও বেশি খাবার, ওষুধ এবং অন্যান্য জরুরি জিনিসপত্র পৌঁছে দিতেই এই উদে্যাগ। তবে ত্রাণ পাঠানোর কাজ গতি পেলেও হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যে এখনই ইতি পড়ছে না, তা ফের স্পষ্ট করে দিয়েছেন ইজরায়েলি সেনার মুখপাত্র, ‘রিয়ার অ্যাডমিরাল’ ড্যানিলেয় হ্যাগারি। তাঁর কথায়, ‘‘হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্য থেকে আমরা সরছি না। এটা আরও একবার পরিষ্কার করে দেওয়া জরুরি।’’ রবিবারও গাজার জাবালিয়ায় অন্তত ৯০ জন প্যালেস্তিনীয়র মৃত্যু হয়েছে ইজরায়েলি সেনার বোমা-গুলি বর্ষণে। তবে হামাসের তরফে এখনও আলোচনার মাধ্যমে রফাসূত্র খোঁজার বার্তা দেওয়া হয়েছে।
মিশরের তরফে সংঘর্ষবিরতি চেয়ে নয়া চুক্তির প্রস্তাবে হামাসের তরফে সামি আবু জুহরি বলেন, ‘‘ইজরায়েলি আগ্রাসন বন্ধে যে কোনও উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। কথা বলার এটাই সময়।’’ তাৎপর্যপূর্ণভাবে, সোমবারও রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের তরফে গাজায় হামাস-ইজরায়েল সংঘর্ষবিরতি চেয়ে প্রস্তাবে ভোটাভুটি হয়েছে। একইসঙ্গে ওই প্রস্তাবে ‘বিনা শর্তে বন্দি মুক্তি’র বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, ইজরায়েলি সেনার হাতেই তিন ইজরায়েলি বন্দির মৃত্যু নিয়ে উত্তেজনা এখনও তুঙ্গে। এরই মধ্যে আইডিএফ-এর একটি নতুন ভিডিও সামনে এসেছে। সেই ভিডিওয় আইডিএফ-এর জেনারেল স্টাফ এলটিজি-র প্রধান হার্জি হালেভিকে, সেনাদের উদ্দেশে বলতে শোনা গিয়েছে, হাতে সাদা পতাকা নিয়ে কোনও গাজাবাসী আত্মসমর্পণের আবেদন করলে গুলি যেন না করা হয়। তিনি বলছেন, ‘‘আপনারা দু’জনকে দেখছেন। হাত উপরে তোলা, গায়ে শার্ট নেই, হাতে সাদা পতাকা। দু’সেকেন্ড অপেক্ষা করুন গুলি ছোড়ার আগে। গাজার কোনও বাসিন্দাও যদি এমন করেন, তা হলে আমরা কেন গুলি ছুড়ব?”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.