সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যে আরও ঘোরাল হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। এবার দেশ থেকে বিদেশি সেনা বহিষ্কারের প্রস্তাব পাশ করল ইরাকের পার্লামেন্ট। এর ফলে যুদ্ধ জর্জর দেশটিতে ফের ইসলামিক স্টেটের সক্রিয় হয়ে ওঠার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
সদ্য বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হামলা চালিয়ে ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্তা কাশেম সোলেমানিকে খতম করেছে আমেরিকা। তারপর থেকেই প্রবল অসন্তোষ দেখা দিয়েছে ইরাকে। এই ঘটনায় ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদি। ইরাকের সার্বভৌমত্বের উপর প্রশ্ন তুলেছে আমেরিকা বলেও অভিযোগ জানান তিনি। পাশাপাশি, সোলেমানিকে শহিদ আখ্যাও দেন তিনি। সব মিলিয়ে আমেরিকারের বিরুদ্ধে ইরাকের পদক্ষেপের আশঙ্কা বাড়ছিল। রবিবার সেই আশঙ্কা সত্যি করে দেশ থেকে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন বিদেশি সেনাদের বহিষ্কার করার প্রস্তাবে সিলমোহর দিল ইরাকের সংসদ। যদিও, এই প্রস্তাবটি মানা নিয়ে সরকারের কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে লড়াইয়ে ইরাকে রয়েছে বেশ কয়েকটি দেশের সেনা। মার্কিন হামলার পর তাদের বহিষ্কার করা হলে, ফের শক্তিশালী হয়ে উঠবে আইএস বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এদিকে, রবিবার একটি বিবৃতি জারি করে আন্তর্জাতিক যৌথবাহিনী জানিয়েছে, আপাতত ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরিবর্তে, ইরানি হামলার আশঙ্কায় ইরাকে সামরিক ঘাঁটির নিরাপত্তা আরও জোরদার করে তোলা হয়েছে। মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট মাইক পম্পেওর বক্তব্য, “আমাদের বিশ্বাস ইরাকের জনতা চাইছে মার্কিন ফৌজ থাকুক। প্রধানমন্ত্রী মাহদি ইরানপন্থীদের প্রবল চাপের মুখে রয়েছেন।” উল্লেখ্য, বাড়তে থাকা উত্তেজনার ফলে ইরাক, কুয়েত-সহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য এলাকায় অতিরিক্ত ৩ হাজার ৫০ সেনা মোতায়েন করেছে আমেরিকা। এই মুহূর্তে কার্যত বারুদের স্তূপের উপর রয়েছে গোটা অঞ্চলটি। ফলে যে কোনও মুহূর্তে প্রবল বিস্ফোরণ ঘটতে পারে মধ্যপ্রাচ্যে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.