সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আন্তর্জাতিক মঞ্চের প্রতিবাদ হেলায় উড়িয়ে হংকং নিয়ে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা বিল পাশ করল চিন। মঙ্গলবার ‘National security legislation for Hong Kong’ শীর্ষক বিলটিতে সই করেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এর ফলে স্বায়ত্বশাসিত প্রদেশটির উপর বেজিংয়ের রাশ আরও মজবুত হয়েছে।
হংকংএর প্রশাসক ক্যারি লাম জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাত ১১টা থেকেই নয়া আইনটি কার্যকর হয়েছে। অর্থাৎ হংকংবাসীকে কোনওরকমের প্রতিবাদের সুযোগ না দিয়েই বিলটি আইনে পরিণত ও লাগু করা হয়েছে। গত সপ্তাহে সেই আইনের রূপরেখা প্রকাশ করেছিল বেজিং। এই আইন মোতাবেক, নতুন দপ্তর খোলা হবে হংকংয়ে। আইন লঙ্ঘনকারীদের বিচারের জন্য হংকংয়ের প্রশাসক ক্যারি ল্যাম নতুন বিচারকও নিয়োগ করবেন খুব শীঘ্রই। আগে নিয়ম ছিল হংকংয়ে কেউ কোনও অপরাধ করলে তার বিচার হংকংয়ের (Hong Kong) আইন মোতাবেক এখানেই হবে। অথচ সূত্রের খবর, নয়া আইনে জাতীয় নিরাপত্তার অভিযোগে যে কোনও ব্যক্তিতে অভিযুক্ত করে তাঁকে মূল চিনা ভূখণ্ডে নিয়ে যাওয়া যাবে। বিশ্লেষকদের মতে, নয়া আইন লাগু করে হংকংয়ে গণতন্ত্রকমীদের বাগে আনতে চাইছে বেজিং। এবার বেছে বেছে বিক্ষোভকারীদের নিশানা করবে শি জিনপিং সরকার। পাশাপাশি, এভাবেই ধীরে ধীরে হংকংয়ের বিশেষ মর্যাদাও রদ করবে চিন। উল্লেখ্য, আজকের দিন অর্থাৎ ১৯৯৭ সালের ১ জুলাই চিনের হাতে হংকংকে তুলে দিয়েছিল ব্রিটেন। তবে চুক্তি মাফিক হংকংকে বিশেষ মর্যাদা দিতে রাজি হয়েছিল চিন।
এদিকে, বিতর্কিত আইনটি পাশ করায় আমেরিকা ও ইউরোপের সঙ্গে চিনের সংঘাত নয়া মাত্রা পেয়েছে। ইতিমধ্যেই বেজিংকে দেওয়া সমস্ত প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ও প্রযুক্তির রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ওয়াশিংটন। পালটা চিনও জানিয়েছে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করলে পালটা জবাব দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে নিজের পক্ষ রাখতে রাষ্ট্রসংঘের মনবাধিকার পরিষদে প্রশাসক ক্যারি লাম দাবি করেছেন, নয়া আইনে কোনঅভাবেই হংকংয়ের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হবে না। তবে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়। সব মিলিয়ে মুখে বেজিং ও লাম যাই বলুন না কেন, হংকংয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ আরও কড়া করতে উদ্যোগী হয়েছে চিন (China)।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.