সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কবে থামবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ? দুবছর পেরিয়েও এর উত্তর মেলেনি। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য, তিনি ক্ষমতায় ফিরলে যত দ্রুত সম্ভব এই রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান ঘটাতে পারবেন। এই প্রেক্ষিতে ইউক্রেন সাফ জানিয়েছে, যুদ্ধের ময়দানে রাশিয়ার সঙ্গে কোনওরকম আপস করতে প্রস্তুত নয় কিয়েভ।
আগামী মাসে আমেরিকার ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ন্যাটো সামিট। রয়টার্স সূত্রে খবর, আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনের আলোচনার প্রধান বিষয়বস্তু হতে চলেছে ইউক্রেন। তার আগে মার্কিন সফরে গিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির চিফ অফ স্টাফ আন্দ্রি ইয়ারমাক। মঙ্গলবার তাঁকে ট্রাম্পের বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। উত্তরে তিনি বলেন, “যদি কেউ এই যুদ্ধে শান্তি ফেরানো নিয়ে কিয়েভকে উপদেশ দেয়, আমরা তা শুনব। কিন্তু আমরা মূল্যবোধের সঙ্গে আপস করতে প্রস্তুত নই। আমরা আমাদের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে আপস করব না।”
বলে রাখা ভালো, ‘প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেটে’ অংশ নিয়ে সিএনএনের আটলান্টা স্টুডিওয় মুখোমুখি হয়েছিলেন জো বাইডেন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্টকে নানা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। অনুষ্ঠানে ওঠে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ। যা নিয়ে ট্রাম্প বলেন, যদি তিনি চলতি বছরের নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হন, তাহলে তিনি দ্রুত রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পারবেন। কিন্তু ট্রাম্প কীভাবে এই কাজ করবেন তা নিয়ে কিছু জানাননি। এদিন আন্দ্রি ইয়ারমাককে আরও জিজ্ঞাসা করা হয় যে,ট্রাম্পের যুদ্ধ পরিচালনা করার বিষয়টি ইউক্রেন কীভাবে মূল্যায়ন করে? ইয়ারমাক বলেন,” আমি সত্যিই জানি না। দেখা যাক কি হয়।”
উল্লেখ্য, গত জুন মাসে এক বক্তৃতায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনকে শর্ত বেঁধে দিয়ে বলেন, “আমরা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতেই পারি। কিন্তু তার জন্য ইউক্রেনকে নেটোতে যোগদানের পরিকল্পনা বাতিল করতে হবে। তাহলেই আমরা আলোচনায় বসতে পারি।” তবে এখানেই পুতিনের দাবি শেষ হয়নি। তিনি আরও শর্ত দেন, “ডোনেটস্ক, লুহানস্ক, জাপরিজজিয়া ও খেরসন থেকে পুরোপুরীভাবে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে ইউক্রেনকে। তবেই আমরা শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে বৈঠকে বসব।” ২০২২ সালে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে বিশেষ সামরিক অভিযান ঘোষণা করেন পুতিন। বাঁধভাঙা জলের জেলেনস্কির দেশে ঢুকে পড়ে রুশ ফৌজ। তার পর থেকে জারি রয়েছে লড়াই। দীর্ঘসময় ধরে যুদ্ধ করার ফলে গত কয়েকমাস ধরে রণক্ষেত্রে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে কিয়েভকে। কিন্তু তাও রাশিয়ার কাছে মাথা নত করতে রাজি নয় ইউক্রেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.