Advertisement
Advertisement

উষ্ণায়নে বিলীন হয়ে যাবে সুমেরু!

গত এক লক্ষ বছরের মধ্যে এই প্রথমবার উত্তর মেরুর সমুদ্র আবার বরফহীন হবে৷ চলতি বছর কিংবা আগামী বছরের মধ্যেই বরফের চিহ্ন থাকবে না সুমেরু প্রদেশে৷

Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 6, 2016 8:15 pm
  • Updated:June 6, 2016 8:27 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহাপ্রলয় আসন্ন্৷ আশঙ্কা এমনও যে, চলতি বছরেই সুমেরু সাগরে  বরফের আর কোনও চিহ থাকবে না৷ গত এক লক্ষ বছরের মধ্যে এই প্রথমবার উত্তর মেরুর সমুদ্র আবার বরফহীন হবে৷ চলতি বছর কিংবা আগামী বছরের মধ্যেই বরফের চিহ্ন থাকবে না সুমেরু প্রদেশে৷ নেচার পত্রিকার গবেষণাপত্রে এমন আশঙ্কার কথাই জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল স্নে্া অ্যান্ড আইস ডেটা সেণ্টার জানিয়েছে, ১ জুনে সুমেরু সাগরে বরফের পরিমাণ ছিল মাত্র ১.১১ কোটি বর্গকিলোমিটার৷ গত ৩০ বছরে এর পরিমাণ ছিল ১.২৭ কোটি বর্গকিলোমিটার৷ তফাতটা ১৫ লক্ষ বর্গকিলোমিটারের অর্থাৎ ব্রিটেনের আকারের ছয়টি দেশ সমান বরফ কমে গিয়েছে৷ কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরুসাগর সংক্রান্ত পদার্থবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক পিটার ওয়াডহ্যামস বলেন, ‘‘সুমেরুর বরফ খুব সম্ভবত আর থাকবে না৷ আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে এক লক্ষ বর্গকিলোমিটারের চেয়েও কম বরফ থাকবে৷ যদি এবার সম্পূর্ণ গলে না যায়, পরের বছর গলে যাবে৷ অর্থাৎ সুমেরুর মধ্যভাগ ও উত্তর মেরু বরফহীন হয়ে পড়বে৷ কানাডার উত্তর উপকূল-সহ বাকি দ্বীপপুঞ্জগুলির মধ্যে মিশে যাবে সুমেরু৷”

বিজ্ঞানীরা বলছেন, অতীতে এক লক্ষ কুড়ি হাজার বছর আগে সুমেরু বরফহীন হয়েছিল৷ মেরুপ্রদেশে সবার আগে উষ্ণায়ন থাবা বসিয়েছে৷ ‘বম্ব সাইক্লোন’-এর সঙ্গেও এর গভীর সম্পর্ক রয়েছে৷ ব্রিটেনের বন্যার কারণও এই উষ্ণায়ন৷ আমেরিকার টর্নেডোর কারণও ভিন্ন্ নয়৷ রাশিয়ার উত্তর উপকূলে জল ঠান্ডা থাকার মূল কারণ জলের নিচে এই বরফগুলি ভেসে বেড়ায়৷ সমু্দ্রে জলের তাপমাত্রা বাড়বে এই বছর৷ গ্রিন-হাউস গ্যাস মিথেনের মাত্রা বেড়েই চলেছে৷ সমু্দ্রপৃষ্ঠে জমাট বেঁধে রয়েছে এই মিথেন৷ তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে সেই মিথেনের বুদ্বুদ উঠছে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে৷ আগামী পাঁচ বছরে বিশ্বের গড় তাপমাত্রা বাড়বে প্রায় ০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ অধ্যাপক ওয়াডহ্যামসের নেচারের গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, সমুদ্রে কম বরফের অর্থ, পৃথিবীপৃষ্ঠ আরও অন্ধকার হবে৷ আরও বেশি সূর্যরশ্মি শোষণ করবে৷ সমুদ্র যদি বেঁকে বসে, তাহলে সর্বনাশ ডেকে আনবে, বলছেন ওয়াডহ্যামস৷
বিজ্ঞানীদের মত, সমুদ্রে আর বরফ নেই মানে বাড়বে জলস্তরও৷ পরিবেশ বিজ্ঞানী পিটার গ্লেইক বলেন, সেপ্টেম্বরে সুমেরুর বরফের পরিমাণ এমনিতেই সবচেয়ে কম থাকে৷ শীত পড়লে তা আবার জমাট বাঁধতে শুরু করে৷ ওয়াডহ্যামসের গবেষণা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই ধরনের মন্তব্য বেঠিক হলে পরিবেশের সমূহ ক্ষতি৷ প্রত্যেক বিজ্ঞানীকেই সমালোচনার মুখে পড়তে হবে যদি ভাবনায় কোনও ভুল থাকে৷” তিনি এও বলেন, যে হারে তাপমাত্রা বাড়ছে তা সত্যিই চিন্তার৷ সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে এবার৷

Advertisement

তাঁর মত, “বরফ না থাকা কিংবা বরফের পরিমাণ একেবারে কমে আসা, যেটিই হোক, সারা বিশ্বের পরিবেশে এর প্রভাব পড়বে৷ আমরা চলন্ত ট্রেনে বসে রয়েছি৷ বিজ্ঞানীরা বাঁশি বাজিয়ে দিয়েছেন অথচ, রাজনীতিবিদরা এখনও কয়লা ঢালছেন রেলের ইঞ্জিন চালাতে!”

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement