সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এই মাসের গোড়ার দিকে মুখোমুখি বসেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান। শান্তির কথা বলেছিলেন তাঁরা। কিন্তু বৈঠকের পরও নিজের জায়গা থেকে নড়েননি কিম জং উন। অন্তত মার্কিন প্রেসিডেন্টের তাই মত। সম্প্রতি তিনি বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার তরফে এখনও বিপদের আশঙ্কা ব্যাহত।
সিঙ্গাপুর সামিটের পর ট্রাম্প টুইটারে লিখেছিলেন, “উত্তর কোরিয়া থেকে আর কোনও পারমাণবিক হুমকি নেই। শান্তিতে নিদ্রা যান।” ওয়াশিংটন ফিরেই একথা বলেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু সম্প্রতি তাঁর সুর বদলে গিয়েছে।
[ জঙ্গি নিকেশে এবার কি পাকিস্তানে ঢুকতে চলেছে মার্কিন সেনা? ]
শুক্রবার মার্কিন কংগ্রেসের কাছে প্রেসিডেন্টের তরফ থেকে একটি বিবৃতি গিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ যে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন, তা জারি রাখা হবে। ট্রাম্পের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, কোরীয় উপদ্বীপের ব্যবহারযোগ্য অস্ত্রের প্রসার ও অনুশীলন ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। উত্তর কোরিয়া সরকারের নীতিগুলি জাতীয় নিরাপত্তা, পররাষ্ট্র নীতি এবং যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির জন্য একটি অস্বাভাবিক ও হুমকি। আপাতত এক বছরের জন্য তিনি জরুরি অবস্থা জারি রাখছেন বলেও মার্কিন প্রেসিডেন্টের তরফে জানানো হয়েছে।
[ বাড়ছে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা, রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে উদ্বেগ ]
সিঙ্গাপুরে ট্রাম্প ও কিমের বৈঠকের পর স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছিল গোটা বিশ্ব। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং উত্তর কোরিয়া নতুন করে নিজেদের সম্পর্ক গড়ে তুলবে। এবং তা রক্ষা করা হবে দুই দেশের মানুষের ইচ্ছে ও সমৃদ্ধির কথা মাথায় রেখেই। কোরিয় উপসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতাবস্থা রক্ষার ক্ষেত্রে দুই দেশ একে অন্যের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চলবে। কিম এও আশ্বাস দেন, পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের পথে হাঁটবে উত্তর কোরিয়া। এও ঠিক হয়, ১৯৫৫-এর যুদ্ধে বন্দিদের হস্তান্তর বা মৃতদের দেহাবশেষ ফেরানোর ব্যাপারে এগিয়ে আসবে দুই দেশ। মোটের উপর বৈঠক ইতিবাচক হয়। উত্তর কোরিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয়েই শান্তির বাণী শোনান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.