সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়ার পর এবার চিনের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাল উত্তর কোরিয়া। উত্তর কোরিয়ার সরকারি ওয়েবসাইটে চিনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বক্তব্য পোস্ট করা হল, খবরটি জানিয়েছে আল জাজিরা।
সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচির সমালোচনা করে বেজিং। সম্ভবত সেই কারণেই দেশটির যুদ্ধবাজ সর্বাধিনায়ক কিম জং উনের রোষানলে পড়তে হল বেজিংকে, মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।
একদিকে যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে কোরীয় উপসাগরে মার্কিন রণতরীর টহল দিচ্ছে, তখন উত্তর কোরিয়ার সরকারি ওয়েবসাইটে চিনকে ‘আপত্তিজনক মন্তব্য’ ও ‘আমেরিকার সুরে সুর মেলানো’য় অভিযুক্ত করা হয়েছে। অথচ, এতদিন উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু ছিল চিনই।
কোরীয় ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে, চিনের সাহায্যের জন্য উত্তর কোরীয় সেনা ভিক্ষা করবে না। বরং মার্কিনপন্থী মনোভাবের জন্য চিনের সমালোচনা করে বেজিংকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলেও মন্তব্য করা হয়েছে। অথচ ১৫০-৫৩-র কোরীয় যুদ্ধের সময় থেকেই পিয়ংইয়ং ও বেজিংয়ের মধ্যে অটুট সম্পর্ক ছিল। উত্তর কোরিয়ার খাদ্যশস্য থেকে শুরু করে বাণিজ্যিক পণ্য- বেশিরভাগটাই আসে চিন থেকে। সম্প্রতি পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে খানিকটা অসন্তুষ্ট বেজিং। এমনকী, ওয়াশিংটন ও পিয়ংইয়ং-দু’পক্ষকেই আলোচনার টেবিলে বসে সমস্যার সমাধান করতে পরামর্শ দেয় বেজিং।
কিন্তু উত্তর কোরিয়া সেই পরামর্শে কান না দিয়ে একের পর এক মিসাইল, পারমাণবিক বোমা পরীক্ষা চালিয়ে যেতে থাকে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে উত্তর কোরিয়া থেকে কয়লা আমদানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেয় চিন। যার ফলে উত্তর কোরিয়ার বাণিজ্যিক মুনাফায় বড়সড় ঘাটতি দেখা দেয়। পিয়ংইয়ংকে পারমাণবিক পরীক্ষা স্তব্ধ করার পরামর্শ দেয় চিন। পাল্টা উত্তর কোরিয়ার সরকারি ওয়েবসাইট এবার হুমকি দিয়েছে, ‘আমাদের সেনার ধৈর্য্যের পরীক্ষা নেওয়া উচিত নয়।’ এখন পাল্টে যাওয়া রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পরিস্থিতিতে উত্তর কোরিয়ার এই হুমকির কী জবাব দেয় চিন, সেদিকেই তাকিয়ে আন্তর্জাতিক মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.