সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ যেন যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলা। দেশের চরম খাদ্যসংকট, করোনার দাপট এসব নিয়ে না ভেবে যুদ্ধাস্ত্রে শান দেওয়ার খেলা অব্যাহত রাখল উত্তর কোরিয়া (North Korea)। ফিলিপিন সাগরে আমেরিকার (US) সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার তিন দিন ব্যাপী যৌথ মহড়ার ‘জবাব’ দিতে রবিবার সকালে ফের ব্যালিস্টিক মিসাইল নিক্ষেপ করল কিম জং উনের দেশ। দক্ষিণ কোরিয়ার দাবি, শিগগিরি পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষাও করতে চলেছে উত্তর কোরিয়া। স্বাভাবিক ভাবেই বাড়ছে উদ্বেগ।
২০১৭ সালের নভেম্বরে শেষবার দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে মহড়া দিতে দেখা গিয়েছিল আমেরিকাকে। প্রায় বছর পাঁচেক পরে ফের দুই দেশের যৌথ মহড়া শেষ হয়েছে একদিন আগেই। তারপরই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে উত্তর কোরিয়া বুঝিয়ে দিল, যতই নিষেধাজ্ঞা চাপানো হোক, তারা তাদের পথেই চলবে। জানা গিয়েছে, যে মিসাইল তারা নিক্ষেপ করেছে সেটিকে ঠিক কী ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র তা চিহ্নিত করা যায়নি।
এমন কাণ্ড অবশ্য তাদের কাছে নতুন নয়। কেবল ২০২২ সালেই তারা এই নিয়ে ১৮ বার এমন ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ল। ২০২১ সাল থেকে বারবার মিসাইল উৎক্ষেপণ করেছে পিয়ংইয়ং। যা একেবারেই ভালভাবে নেয়নি আন্তর্জাতিক মহল। শেষমেশ রাষ্ট্রসংঘ ব্যালিস্টিক এবং পরমাণু মিসাইল পরীক্ষানিরীক্ষায় উত্তর কোরিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কিন্তু কোনও নিষেধাজ্ঞাকেই পাত্তা দিতে রাজি নয় উত্তর কোরিয়া।
দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকার দাবি, গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন কিম। এর আগে ২০০৬ সালে তারা প্রথম বার পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষামূলক নিক্ষেপ করেছিল। পরবর্তী ১১ বছরে ৬ বার তারা এমন পরীক্ষা করলেও ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরের পর আর এই ধরনের কোনও পরীক্ষা করেনি। কিন্তু এবার ফের পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা করতে উদ্যত উত্তর কোরিয়া। আসলে কিমের দেশ পারমাণবিক শক্তিধর দেশ হিসেবে স্বীকৃতি চায় আমেরিকার থেকে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, এই ভাবে ওয়াশিংটনের উপরে চাপ প্রয়োগ করে কূটনৈতিক মঞ্চে সুবিধা আদায় করাই লক্ষ্য তাদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.