সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বারুদের স্তূপে দাঁড়িয়ে মধ্যপ্রাচ্য। ‘শত্রু’দের নিকেশ করতে ভয়ংকর লড়াই চালাচ্ছে ইজরায়েল। দুবছর পেরিয়ে গেলেও সংঘাত জারি রয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে। দুই যুদ্ধের মাঝেই নতুন করে উত্তেজনা বেড়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে। ফুঁসছেন উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান কিম জং উন। এতদিন শত্রুপক্ষকে চোখ রাঙিয়ে সাগরে একের এক মিসাইল ছুঁড়তেন তিনি। কিন্তু এখন পিয়ংইয়ং নাকি দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত সমস্ত রাস্তা উড়িয়ে দেওয়ার ছক কষছে! এমনটাই দাবি সিউলের। কিন্তু কেন এই পরিকল্পনা কিমের?
মাস কয়েক আগেই যৌথ সামরিক মহড়া শেষ করেছে আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়া। তাদের সঙ্গে জোট বেঁধেছে জাপানও। যা মোটেই ভালোভাবে নেয়নি উত্তর কোরিয়া। এর ঘৃতাহুতি পড়ে আগুনে। গত শুক্রবার কিমের দেশ অভিযোগ জানায় যে, রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের আকাশে হানা দিয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়ার বৃহৎ সংখ্যায় ড্রোন। আর এতেই রেগে লাল হয়ে যান কিম। এর পরই উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ তাদের প্রতিবেদনে জানায়, কিম জং উনের সেনা দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত রাস্তা সম্পূর্ণভাবে কেটে দেবে এবং রেলপথেও সংযোগ বন্ধ করে দেবে। এই হুঁশিয়ারির পরেই গতকাল সোমবার সিউল দাবি করে, দুদেশের সীমান্তবর্তী রাস্তাগুলোয় সামরিক কার্যকলাপ বাড়িয়ে দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। রাস্তাগুলো উড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে তারা। পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়ার সেনা ড্রোন ওড়ানোর বিষয়টিও অস্বীকার করে। তাহলে কি এবার যুদ্ধ লাগল বলে?
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রকাশ্যে আসে কিমের পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার! ভাইরাল হয় ছবিও। সেসময় সমরাস্ত্র তৈরির কারখানা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক। ছবিতে দেখা যায়, সেখানে সাজানো রয়েছে নানা অস্ত্রশস্ত্র। সেনা আধিকারিকদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সারছেন কিম। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছেন সমস্ত কিছু। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের দাবি, উত্তর কোরিয়ার কাছে ৫০টির কাছাকাছি পরমাণু অস্ত্র রয়েছে। শুধু তাই নয়, শতাধিক পরমাণু অস্ত্র বানানোর জন্য রসদও রয়েছে তাদের হাতে। পরমাণু হাতিয়ারের পাশাপাশি ডুবোজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিয়েও কাজ করছে কিমের দেশ।
এছাড়া অতিবৃহৎ আণবিক বোমা বহনে সক্ষম মিসাইলের পরীক্ষা করেছে উত্তর কোরিয়া। যা সফলও হয়েছে। ওই একেকটি বোমার ওজন প্রায় ৪.৫ টন। যা বহুদূর পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম। সমর বিশ্লেষকদের মতে, আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়াকে চোখ রাঙিয়ে এই হাতিয়ার তৈরি করেছেন কিম। গত বছরের ডিসেম্বরে শত্রু দেশে পরমাণু হামলার হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর সাফ বার্তা ছিল, প্রতিপক্ষ যদি পরমাণু অস্ত্রের আস্ফালন করে ভয় দেখানোর চেষ্টা করে তাহলে আক্রমণ শানাতে পিছপা হবে না উত্তর কোরিয়া। প্রতিপক্ষকে যোগ্য জবাব দিতে নিজেদের অস্ত্রাগার সম্প্রসারণও করছে উত্তর কোরিয়া। উন্নত যুদ্ধাস্ত্রের পরীক্ষা চলছে। ফলে যেকোনও সময় যুদ্ধের দামামা বাজতে পারে কোরীয় উপদ্বীপে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.