সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনেক আলোচনার পর বৈঠক হলেও শেষমেশ তা ভেস্তে গেল। রিপোর্ট বলছে তাতে নাকি উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উন এতটাই চটেছেন যে বিশেষ দূতকে ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে দাঁড় করিয়ে খুন করিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: মেগানপু্ত্র আর্চিকে দেখতে গেলেন প্রিয়াঙ্কা, দিলেন বহুমূল্যের উপহারও]
ঠিক কী ঘটেছে? জানা গিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিতীয় শীর্ষ বৈঠক ফলপ্রসূ না হওয়ায় বেজায় চটেছেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ ছিল বৈঠকের মূল অ্যাজেন্ডা। তাঁর সঙ্গে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’র জন্য চরম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিলেন তাঁর একদা ঘনিষ্ঠ, আস্থাভাজনদের বিরুদ্ধে। হ্যানয়ে ট্রাম্প-কিম বৈঠক আয়োজনের জন্য উত্তর কোরিয়ার বিশেষ দূত কিম হায়োক চোলকে ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে দাঁড় করিয়ে খুন করা হয়েছে। এর আগে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত হিসাবে স্পেনে নিযুক্ত ছিলেন তিনি। কিন্তু উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নীতির কারণে মাদ্রিদ তাঁকে বহিষ্কার করে। শুক্রবার এমন খবরই দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি দৈনিক ‘চোসুন ইলবো’।
কতই বা বয়স কিমের। মাত্র পঁয়ত্রিশ। কিন্তু উত্তর কোরিয়ার ওয়ার্কিং পার্টির চেয়ারম্যান তথা প্রেসিডেন্ট কিম জং একুশ শতকের সব থেকে নিষ্ঠুর স্বৈরাচারী শাসক বলেই পরিচিত। কিন্তু চোসুন ইলবো-র মতে, যে ঘটনা ঘটেছে তা ভয়াবহ। দৈনিকে খবর প্রচারের পরই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রিপোর্ট থেকে আরও জানা গিয়েছে, শুধু কিম হায়োক চোলকে খুন করেই শান্ত হননি প্রেসিডেন্ট। রাগ থেকে বাদ যাননি অনুবাদকও। গত ফেব্রুয়ারি মাসে হ্যানয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর শীর্ষ বৈঠকে যিনি দোভাষীর কাজ করেছিলেন, সেই শিন হ্যায়ে ইয়ং তাঁর ‘বক্তব্য সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারেননি’ বলে তাঁকে পাঠানো হয়েছে পিয়ংইয়ংয়ের কাছে একটি বন্দি শিবিরে। ওই বৈঠকে মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পায়োর সমতুল্য যিনি ছিলেন উত্তর কোরিয়ার দায়িত্বে, পিয়ংইয়ঙের কমিউনিস্ট পার্টির সেই প্রবীণ নেতা কিম ইয়ং চোলকে পাঠানো হয়েছে শ্রম শিবিরে। ফেব্রুয়ারিতে ওই বৈঠকের শেষে ‘তা হলে সমস্যা কিছুই মিটল না’ বলে টেবিল ছেড়ে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে।
দৈনিকটি জানিয়েছে, গত মার্চে মিরিম বিমানবন্দরে ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে দাঁড় করিয়ে খুন করা হয়েছে উত্তর কোরিয়ার বিশেষ দূত কিম হায়োক চোল ও তাঁর সঙ্গী বিদেশমন্ত্রকের চার কর্তাকে। হ্যানয়ের শীর্ষ বৈঠকের আয়োজকদের অন্যতম চোল পিয়ংইয়ং থেকে বিশেষ ট্রেনে হ্যানয়ে যাওয়ার সময় প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের সহযাত্রী হয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে পিয়ংইয়ঙের অভিযোগ, “প্রেসিডেন্ট কিম জং-উনের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে বৈঠকের আগেই তিনি আমেরিকার কাছে মাথা নুইয়েছিলেন।” ওই বৈঠক আয়োজনের ক্ষেত্রে যে ভূমিকা নিয়েছিলেন আমেরিকার তরফে স্টিফেন বাইগান, উত্তর কোরিয়ার তরফে সেই একই দায়িত্ব ছিল চোলের। তবে তাঁর সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার বিদেশমন্ত্রকের আর যে চার অফিসারকে গত মার্চে মিরিম বিমানবন্দরে গুলি করে মারা হয়েছে, তাঁদের পরিচয় এখনও জানায়নি দক্ষিণ কোরিয়ার দৈনিকটি। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সংযুক্তির প্রস্তাব খতিয়ে দেখছে দক্ষিণ কোরিয়ার যে মন্ত্রক, তারা অবশ্য ওই দৈনিকের খবর নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
[আরও পড়ুন: শুল্ক যুদ্ধে এবার চিনের নিশানায় মার্কিন অস্ত্রভাণ্ডার]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.