সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুকুমার রায় লিখেছিলেন, ‘শিব ঠাকুরের আপন দেশে, আইন-কানুন সর্বনেশে..’! তার বাস্তব সংস্করণ হলেন উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক কিম জং উন। গোটা বিশ্ব করোনার থাবায় স্ত্রস্ত। কিন্তু উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম তখন গর্বে উড়ছিলেন প্রায়। কারণ, উত্তর কোরিয়ার দাবি ছিল, তাদের দেশে এখনও কোনও কোভিড পজিটিভ রোগীর হদিশ পাওয়া যায়নি। তাই করোনা মোকাবিলায় বিশ্বের মধ্যে নজরি সৃষ্টির দাবিও করেছিলেন কিম। কিন্তু সেই গর্বের বেলুন চুপসে গেল এক নিমেষে। সীমান্ত শহর কেসাংয়ে করোনার উপসর্গযুক্ত এক রোগীর সন্ধান মিলেছে। তাই দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন স্বৈরাচারী কিম।
কেসাং শহরকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে ইউহানের মতো। জানুয়ারিতেই গোটা বিশ্বে করোনার প্রকোপ বাড়তে থাকার সময় দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দেয় কিম সরকার। কিন্তু সেইসময় দক্ষিণ কোরিয়ায় দিনে ৪০-৫০ জন করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল। আসান ইনস্টিটিউট ফর পলিসি স্টাডিজের এক গবেষক গো মিয়ং হিউন জানিয়েছেন, চিন থেকে উত্তর কোরিয়ায় করোনার সংক্রমণ ঘটেছে। এই কারণে সিওলের উপর ক্ষুব্ধ কিম ভয়াবহ বদলার কথা ভাবছেন। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, শনিবার জরুরি ভিত্তিতে পলিটব্যুরোর বৈঠক করেন কিম জং উন। সেখানেই করোনা সংক্রমণ রোধে জরুরি অবস্থা জারি নিয়ে আলোচনা হয় বলে সূত্রের খবর।
জানা গিয়েছে, করোনা উপসর্গযুক্ত ওই ব্যক্তি তিন বছর আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় চলে যান। কিন্তু গত ১৯ জুলাই তিনি ফিরে এসেছেন। দুই দেশের মধ্যে কড়া নজরদারি থাকা সত্ত্বেও অবৈধভাবে সীমান্ত পার করেছেন ওই ব্যক্তি বলে অভিযোগ। যদিও এ বিষয়ে সরকারি ভাবে কিছু এখনও ঘোষণা করা হয়নি। কারও সীমান্ত পারাপারের তথ্য নেই বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। করোনা উপসর্গ থাকায় ওই ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সির (KCNA) দাবি, ওই ব্যক্তির পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক। সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তির থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে বিপর্যয় হতে পারে বলে সরকারের আশঙ্কা। সরকারি গণমাধ্যমের খবরে অনুযায়ী, উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জাতির উদ্দেশে বলেছেন, ‘ভয়ংকর এই ভাইরাস দেশে ঢুকে পড়েছে। কেসাং শহর পুরোপুরি অবরুদ্ধ করতে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.