Advertisement
Advertisement

Breaking News

কিমের ‘হাইড্রোজেন বোমায়’ প্রবল ভূমিকম্প, ছড়াল আতঙ্ক  

কম্পনের মাত্র ৬.৩ বলে জানা গিয়েছে।

North Korea conducts 6th nuclear test, sparks quake
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 3, 2017 6:04 am
  • Updated:September 29, 2019 6:26 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকার চোখ রাঙানি। আর্থিক নিষেধাজ্ঞা। ‘বন্ধু’ চিনের চাপ। এসব কিছু হেলায় উড়িয়ে ষষ্ঠ পারমাণবিক বোমার পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটাল উত্তর কোরিয়া। বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ সামরিক আধিকারিকরা।

‘ইউএসজিএস’ নামের ভূকম্পন বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ায় একটি প্রচণ্ড বিস্ফোরণ হয়েছে। যার ফলে  প্রচণ্ড ‘শক ওয়েভ’ তৈরি হয়েছে। ‘রিখটার স্কেলে’ ওই কম্পনের মাত্র ৬.৩ বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। দক্ষিণ কোরীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শনিবার স্থানীয় সময় রাত ১২.৩৬ নাগাদ একটি ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের উৎস উত্তর কোরিয়ার হামগ্যং প্রদেশ। ওই ভূমিকম্পটি প্রাকৃতিক কারণে ঘটেনি। কোনও বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা ও বিস্ফোরণই ওই ভূমিকম্পের জন্য দায়ী। ভূমিকম্পের ফলে দক্ষিণ কোরিয়ায় ছড়িয়েছে আতঙ্ক। অনেকেই ‘বম্ব শেল্টারে’ আশ্রয় নিয়েছেন। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

Advertisement

[কাশ্মীর ছিনিয়ে নিতে হবে, ফের বেপরোয়া জামাত নেতা মাক্কি]

ইতিমধ্যে ‘হাইড্রোজেন বোমা’ বানানোর দাবি করেছেন কিম জং উন। তারপরই এমন ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ ও ভূমিকম্পে তাঁর কথা সত্য বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কোরীয় উপসাগরীয় অঞ্চল একটি ‘টাইম বম্ব’ বলেই সতর্কবার্তা দিয়েছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। তাদের আশঙ্কা, যেকোনও মুহূর্তে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে। আর তা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা একপ্রকার বেজে উঠবে। এবার ফের পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পরিস্থিতি আরও ভয়ানক করে তুলেছেন কিম। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে মার্কিন ও উত্তর কোরীয় সামরিক কর্তাদের মধ্যে শুরু হয়েছে জরুরি বৈঠক। কীভাবে পিয়ংইয়ংকে বাগে আনা যায় তাই নিয়ে চলছে আলোচনা।

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই রাজধানী পিয়ংইয়ং থেকে ব্যালিস্টিক মিসাইল উৎক্ষেপণ করে কিমের সেনা। জাপানের হোক্কাইডো দ্বীপের উপর দিয়ে বেরিয়ে যায় উত্তর কোরিয়ার ছোড়া ওই মিসাইলটি। জাপানি  ব়্যাডারে ক্ষেপণাস্ত্রটি ধরা পড়তেই ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। তবে কোনও ক্ষতি না করে অবশ্য মাঝ সমুদ্রে আছড়ে পড়েছিল ওই মিসাইলটি। তারপরই কমিউনিস্ট দেশটিকে কড়া ভাষায় বার্তা দিয়েছিলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। তবে কিছুতেই থামানো যাচ্ছেনা যুদ্ধবাজ কিমকে। তাঁর পদক্ষেপ প্রতি মুহূর্তে উসকে দিচ্ছে যুদ্ধের সম্ভাবনা।

[দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের ‘দাদাগিরি’ রুখতে তুরুপের তাস খেললেন ট্রাম্প]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement