সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন ২৫ জুলাই। তার আগেই একটি সমীক্ষায় প্রকাশ পেল চাঞ্চল্যকর তথ্য। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, প্রতিবেশী দেশে অমুসলিম ভোটার সংখ্যা গত নির্বাচনের তুলনায় অদ্ভুতভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৩-র নির্বাচনে যেখানে অমুসলিম ভোটার সংখ্যা ছিল ২.৭৭ মিলিয়ন (২৭ লক্ষ ৭০ হাজার), সেখানে ২০১৮ সালে অমুসলিম ভোটারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩.৬৩ (৩৬ লাখ ৩০ হাজার) মিলিয়ন। পাকিস্তানের ডন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে এই খবর।
রিপোর্টে প্রকাশ, অমুসলিম ভোটাররা পাকিস্তানে সংখ্যালঘু হিসেবে পরিগণিত হয়। এই ভোটারদের মধ্যে আবার সবচেয়ে উপরে রয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের নাম। ২০১৩ সালে অমুসলিমদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক ছিল হিন্দুরা। কিন্তু এবছরের খতিয়ান সেকথা বলছে না। ২০১৩ সালে যেখানে হিন্দুদের সংখ্যা ছিল ১৪ লক্ষ, ২০১৮ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৭০ হাজার। ফলে স্বাভাবিকভাবেই অমুসলিম ভোটার সংখ্যাও বেড়ে গিয়েছে।
[ বায়ুসেনার শক্তি বৃদ্ধিতে ভাণ্ডারে আসছে দূরপাল্লার অত্যাধুনিক রুশ মিসাইল ]
সংবাদমাধ্যমে এও প্রকাশ পেয়েছে, হিন্দুদের পরেই অমুসলিম ভোটার তালিকায় রয়েছে খ্রিস্টানরা। তাদের সংখ্যা ১৬ লক্ষ ৪০ হাজার। হিন্দু ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী ভোটারের পাশাপাশি পাকিস্তানে ক্রমশ বাড়ছে পার্সি ভোটারের সংখ্যাও।
পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী, দেশের নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের দিন নির্ধারণ করতে পারে না। সেই অধিকার একমাত্র রাষ্ট্রপতির। নির্বাচন কমিশন তাদের প্রস্তাব রাষ্ট্রপতিকে জানাতে পারে মাত্র। সেই মতো, পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন গত সপ্তাহে দেশের রাষ্ট্রপতিকে একটি চিঠি দেয়। তাদের প্রস্তাব ছিল, ২৫ থেকে ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে যেন নির্বাচনের অনুমতি দেন তিনি। তারপরই নির্বাচনের দিন ঘোষিত হয়।
[ নজরে চিনা তথ্যপ্রযুক্তি বাজার, দ্বিতীয় ‘আইটি করিডর’ উদ্বোধন ভারতের ]
পাকিস্তানের বর্তমান সরকারের সূচনা হয়েছিল ২০১৩ সালে। তাদের মেয়াদ ৩১ মে পর্যন্ত। ১ জুন থেকে সরকারের দায়িত্ব চলে যাবে তত্ত্বাবধায়কদের হাতে। পরবর্তী নির্বাচন হয়ে ফলপ্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত তারাই সরকার চালাবে। এ বছর নির্বাচনের পর যে দল ক্ষমতায় আসবে, তারাই পাঁচ বছর সরকার চালাবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.