Advertisement
Advertisement
মার্কিন কংগ্রেস সদস্য

কাশ্মীর নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, দেশেই প্রবল বিরোধিতার মুখে ট্রাম্প

চাপে পড়ে প্রশাসনের সাফাই, ‘মধ্যস্থতা’ নয়, ‘সাহায্য’ করতে চাইছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷

'No mediation,wants to help only', US administration on Kashmir issue
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:July 23, 2019 12:36 pm
  • Updated:July 23, 2019 12:47 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাষ্ট্রনেতা বিতর্কিত মন্তব্য করে ইতিমধ্যেই কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছেন৷ এবার নিজের দেশের জনপ্রতিনিধিদের বিরোধিতার মুখেই পড়তে হল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে৷ কাশ্মীর নিয়ে ট্রাম্পের ‘মধ্যস্থতা’ মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে টুইট করে মার্কিন কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট সদস্য ব্র্যাড শেরম্যান ক্ষমা চেয়ে নিলেন৷ আমেরিকার ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হর্ষ শ্রিংলার কাছে ক্ষমা চেয়ে সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘আমি ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের কাছে ক্ষমা চাইছি, ট্রাম্পের এই খামখেয়ালি এবং অস্বস্তিকর মন্তব্যের জন্য৷’ টুইটারে শেরম্যান আরও লিখেছেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি সম্পর্কে যাঁরা এতটুকু জানেন, তাঁদের জানা কথা যে গত ৭০ বছর ধরেই কাশ্মীর সমস্যায় ভারত কাউকে মাথা গলাতে দেয়নি৷ তাঁরা বরাবরই তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার বিরোধিতা করে এসেছে৷ এমনকী ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদিও সেই একই নীতিতে চলেন৷ তিনি কখনওই এমন একটা প্রস্তাব দিতে পারেন না৷’

[আরও পড়ুন: কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতা চান মোদি! ইমরানের সঙ্গে বৈঠকে চাঞ্চল্যকর দাবি ট্রাম্পের]

ডেমোক্র্যাট সদস্য ব্র্যাড শেরম্যান এই মুহূর্তে মার্কিন বিদেশ দপ্তরের দক্ষিণ এশিয়া সংক্রান্ত সাব কমিটির চেয়ারম্যান৷ ফলে নিজের কাজের সুবাদেই এই এলাকার রাজনীতি সম্পর্কে সম্যক ধারণা আছে তাঁর৷ স্বাভাবিকভাবেই ট্রাম্পের চেয়ে তিনি অন্তত ভারত-পাকিস্তানের মাঝে কাশ্মীর ইস্যুর গুরুত্ব ভাল বোঝেন৷ তাই তিনি একেবারে সপাটে বলতে পারেন, ট্রাম্পের মন্তব্য খামখেয়ালিপূর্ণ এবং বিরক্তিকর৷ কারণ, তিনি না বুঝেই এমনটা করেছেন৷ তাঁর পাশাপাশি মার্কিন কংগ্রেসের আরেক সদস্য ইলিয়ট এল এঙ্গেল ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হর্ষ শ্রিংলাকে ফোন করে এনিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেন৷ সেইসঙ্গে দু’দেশের মধ্যে সন্ত্রাস সমস্যা না মিটলে কাশ্মীর নিয়ে সমাধান অসম্ভব, ভারতের এই অবস্থানকেও সমর্থন করেছেন ইলিয়ট৷
শেরম্যানের পরপরই আবার ট্রাম্পকে সমর্থন করতে নেমে পড়েছেন প্রিন্সিপ্যাল ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অ্যালিস ওয়েলস৷ তিনি পালটা টুইট করে বলেছেন, ‘কাশ্মীর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক ইস্যু৷ যদি দু দেশই চায়, তাহলে একসঙ্গে বসে আলোচনা করতে পারে৷ আর ট্রাম্প প্রশাসন সেই আলোচনাকেই স্বাগত জানিয়েছে৷ এই উদ্যোগের পাশে থাকতে তৈরি আমরা৷ প্রেসিডেন্ট সেই বার্তাটুকুই দিয়েছেন৷’

Advertisement

[আরও পড়ুন:আমেরিকায় বিক্ষোভের মুখে ইমরান, বক্তৃতার মাঝেই বিক্ষোভ বালোচদের]

আর অ্যালিসের এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করেই আপাতত আত্মপক্ষ সমর্থনে নেমেছে ট্রাম্প প্রশাসন৷ মার্কিন বিদেশ দপ্তরের এক কমিটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, ‘মধ্যস্থতা’র বার্তা নয়, ‘সাহায্য’ করতে চেয়েছেন ট্রাম্প৷ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘কয়েক দশকে ভারত-পাকিস্তান নিয়ে মার্কিন নীতি অনুযায়ী, দু’দেশের সমস্যা উভয় মিলেই মেটাবে৷ তবে ভারত আমাদের খুব কাছের বন্ধু৷ আমরা দ্বিতীয় নরেন্দ্র মোদি সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চাই৷ তাই ওই অঞ্চলে সন্ত্রাসদমনে ভারতকে সবরকম সাহায্য করতে প্রস্তুত আমেরিকা৷’ সবমিলিয়ে, দেশের প্রেসিডেন্টের এমন এক বেফাঁস মন্তব্য ঘিরেই নতুন করে সরগরম হয়ে উঠল ভারত-মার্কিন সম্পর্ক৷ বিশেষত ভারতের নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দেওয়া এবং দেশের মধ্যেই সমালোচনার ঝড় ওঠায় কাশ্মীর ইস্যুতে ট্রাম্পের ‘মধ্যস্থতা’ মন্তব্যে যে বেশ বেসামাল মার্কিন প্রশাসন, তা জলের মতো সহজ৷

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement