সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকে পাকিস্তান যে ভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে অসহযোগিতা করে চলেছে, তাতে এই দু’দেশকে পাশাপাশি ‘হাইফেন’ দিয়ে জুড়ে দেওয়ার তীব্র বিরোধিতা করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর।
[আরও পড়ুন: রোগ সারাতে একরত্তি মেয়েকে নদীতে ছুঁড়ে ফেলল বাবা]
তিন দিনের সফরে জয়শংকর এখন আমেরিকায়। সোমবার মার্কিন স্বরাষ্ট্র সচিব মাইকেল পম্পেওর সঙ্গে ওয়াশিংটন ডিসিতে বৈঠকও করেন তিনি। এ দিনই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিদেশমন্ত্রী বলেন, “৫ আগস্টের পর থেকে যারা জম্মু-কাশ্মীরের উন্নতি সহ্য করতে পারছেন না একটা ‘হাইফেন’ দিয়ে তাদের সঙ্গে ভারতকে জুড়ে দেওয়া ভুল।” সাংবাদিকদের জয়শংকর বলেন, “আপনারা বিষয়টি শব্দগতভাবে বলছেন। যাদের অর্থনীতির বহর ভারতের আট ভাগের এক ভাগ, যাদের পরিচিতি ভারতের একেবারে বিপরীত, যাদের প্রভাব, ব্যাপ্তি, ক্ষমতা ভারতের কাছে নস্যি, কী ভাবে সেই পাকিস্তানকে ভারতের সঙ্গে একটা হাইফেন দিয়ে জুড়ে দিচ্ছেন আপনারা?” তাঁর মতে, যুক্তি দিয়ে দেখতে গেলে ভারত আর পাকিস্তানের তুলনামূলক কোনও আলোচনা হওয়াটাই উচিত নয়।
এদিন বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘অব কি বার…ট্রাম্প সরকার’ বলে প্রধানমন্ত্রী মোদি ‘হাউডি মোদি’ অনুষ্ঠানে যে স্লোগান দিয়েছেন তার মারাত্মক ভুল ব্যাখ্যা করছে সংবাদমাধ্যমগুলি। ট্রাম্পের হয়ে প্রচার নয়, আসলে মোদি বলতে চেয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টই প্রচারে এই স্লোগান ব্যবহার করছেন। মোদিজি এই স্লোগানটা ব্যবহার করেছেন উৎসাহবশত এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে বন্ধুত্ব বোঝাতে। ভোটপ্রচারে সাহায্য করার জন্য নয়।
২২ সেপ্টেম্বর হিউস্টনে হাউডি মোদি অনুষ্ঠানে মোদি বলেছিলেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে ভারতীয়দের খুব ভাল সম্পর্ক। ‘অব কি বার ট্রাম্প সরকার’- স্লোগানে সেই সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।’’
যদিও বিরোধীদের অভিযোগ, মোদির এই মন্তব্য ভারতের পুরনো বিদেশনীতিকে লঙ্ঘন করেছে। ট্রাম্পের হয়ে প্রচারের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে জয়শংকর বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন, সেটা খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখুন। আমার যতদূর মনে পড়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ট্রাম্পের প্রচারে যুক্ত টিম নিজেই ওই স্লোগান (অব কি বার, ট্রাম্প সরকার) ব্যবহার করেছিল। সুতরাং প্রধানমন্ত্রী সেই অতীতের কথাই বলতে চেয়েছেন। নিজে থেকে স্লোগান তৈরি করেননি।’’ জয়শংকরের ব্যাখ্যা, “মোদিজি বলতে চেয়েছেন, মিস্টার ট্রাম্প আপনি নিজেকে ভারত ও ভারতীয়দের সঙ্গে যোগসূত্র হিসাবে তৈরি করেছেন। মার্কিন অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে আমরা নিরপেক্ষ।” অন্য এক প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী স্পষ্ট জানান, “ভারত কোন দেশ থেকে কোন সামরিক সরঞ্জাম কিনবে কেউ যেন সে ব্যাপারে মাথা না ঘামায়। সার্বভৌম দেশ হিসাবে এই সিদ্ধান্ত একেবারেই আমাদের নিজস্ব।” কাশ্মীর নিয়ে ভারতের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে মঙ্গলবার সৌদি আরব পৌঁছেছেন ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল।
[আরও পড়ুন: চিনের কাছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মিসাইল, ৩০ মিনিটে পৌঁছবে আমেরিকা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.