সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ লকডাউনে হয়ত করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রিত করা গিয়েছে। কিন্তু কেশবিন্যাস তো আর নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। তা তো বেড়েই চলেছে। অপেক্ষা ছিল লকডাউন কবে উঠবে, তার। বৃহস্পতিবারই ছিল সেই প্রতীক্ষিত দিন। করোনা সংক্রমণ এড়িয়ে নিউজিল্যান্ডে এদিন থেকেই খুলে গিয়েছে দোকান, বাজার সব। আর চমকপ্রদভাবে রাত থেকে স্যাঁলো এবং পার্লারের সামনে দীর্ঘ লাইনই লকডাউন পরবর্তী নিউজিল্যান্ডের প্রথম দৃশ্য! যা দেখে অবাক অনেকেই। চুল, দাড়ি কাটার জন্য রাতভর লাইন দিলেন যুবক, যুবতী থেকে শুরু করে সববয়সের নারী, পুরুষ।
করোনার সংক্রমণে তেমন কাবু হয়নি নিউজিল্যান্ড। স্বাস্থ্যকর্তাদের মতে, গোষ্ঠী সংক্রমণ থেকে দূরেই এই দ্বীপ দেশ। গত তিনদিনে নতুন করে কেউ আক্রান্ত হয়নি। মৃত্যুও নেই। তাই সাবধানতা অবলম্বনের জন্য লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও, বিপদ কেটে যাওয়ায় তা তুলেও নেওয়া হয়েছে। খুলে দেওয়া হয়েছে কাফে, রেস্তরাঁ, স্যালোঁ, শপিং মল – প্রায় সবধরনের পাবলিক প্লেসই। এক জায়গায় ১০ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না, এই বিধিনিষেধও অবশ্য আছে। তবে সবকিছুর মধ্যে নজর কাড়ল পার্লার বা স্যালোঁর সামনে দীর্ঘ লাইন। শ্মশ্রুগুম্ফ-সহ পুরুষদের ভিড়ের পাশাপাশি লম্বা চুলওয়াল মহিলা এবং লাগামহীনভাবে বেড়ে যাওয়া চুলের ঝাঁক নিয়ে কচিকাচারাও। সবারই লক্ষ্য, সবার আগে চুলটা কাটিয়ে ফেলা।
তবে রাতভর দাঁড়িয়ে থাকা তো চাট্টিখানি ব্যাপার নয়। তাই কেউ সমুদ্রের ধারে গিয়ে বসলেন। পার্লারে লাইন দিতে হলে কী হবে, ঘুমও তো পিছু ছাড়েনি। কেউ তার সামনে বসেই একটু ঘুমিয়ে নিলেন। সকালে হেয়ারড্রেসাররা গিয়ে এই দৃশ্য দেখে তো থ! ভাবেনইনি যে চুল কাটানোর জন্য এতজন ভিড় করবেন। প্রাথমিকভাবে তাঁরা চিন্তায় পড়ে যান এই ভেবে যে একসঙ্গে কীভাবে এতজনের চুল সেট করে দেবেন। পরে অবশ্য অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে লাইনে দাঁড়ানো মানুষজনের আবদার মেটান হেয়ারড্রেসাররা।
লকডাউনে পার্লার, স্যালোঁ বন্ধ থাকায় বিপাকে অনেকেই। এদেশেও দেখা গিয়েছে, কেউ নেড়া হয়ে গিয়েছেন, কেউ আবার আপনজনদের দক্ষতায় চুলের কেতা রাখতে পেরেছেন যথাযথই। সেলিব্রিটিরাও বাদ পড়েননি। তাঁদের চুল কাটার কতশত ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল! তবে নিউজিল্যান্ডবাসী কিন্তু এ বিষয়ে একেবারে অন্যরকম। কেশরাশি শত বিপাকে ফেললেও চুলে কাঁচি চালাতে সাহস করেননি। ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করেছেন। লকডাউন উঠলে সোজা একেবারে বিশেষজ্ঞের কাছেই তাঁরা চলে গিয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.