Advertisement
Advertisement
Britain

প্রথম দিনেই ধর্মঘট, হবু ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি শ্রমিক সংগঠনের

ব্রেক্সিট জটিলতা থেকে জ্বালানি জ্বালায় জর্জরিত ব্রিটেন।

New UK PM to face staff walk out on first day in office, union says | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:September 2, 2022 2:21 pm
  • Updated:September 2, 2022 2:21 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রেক্সিট জটিলতা থেকে জ্বালানি জ্বালা। একের পর এক সমস্যায় চাপের মুখে পড়েছে ব্রিটেনের অর্থনীতি। করোনা আবহে গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো পার্টিগেট কেলেঙ্কারি ডাউনিং স্ট্রিটে এক অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। এহেন ডামাডোলে সমস্যা আরও বাড়িয়েছে সরকারি শ্রমিক সংগঠন। তাদের হুঁশিয়ারি, হবু ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর যেদিন মসনদে বসবেন, সেদিনই ধর্মঘট শুরু করা হবে।

নির্বাচন শেষে আগামী সোমবার অর্থাৎ ৫ সেপ্টেম্বর নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হবে। তারপরের দিনই রানি এলিজাবেথের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেবেন কার্যনির্বাহী প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। শেষ পাওয়া খবরের মতে, মসনদের দৌড়ে প্রাক্তন চ্যান্সেলর ঋষি সুনাককে (Rishi Sunak) অনেকটাই পিছনে ফেলে দিয়েছেন বিদেশ সচিব লিজ ট্রাস। কিন্তু মসনদে যেই বসুন না কেন, শুরুতেই আকাশে মেঘ ঘনিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। রয়টার্স সূত্রে খবর, বেতনবৃদ্ধি, স্বাস্থ্য পরিষেবা, সুরক্ষা এবং অন্যান্য দাবিতে ধর্মঘটের হুমকি দিয়েছে সরকারি ট্রেড ইউনিয়নগুলি। ৫ ও ৬ সেপ্টেম্বর ধর্মঘট চলবে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে তারা। সাফাইকর্মী, নিরাপত্তারক্ষী থেকে শুরু করে হাজার হাজার সরকারি কর্মীরা হরতালে শামিল হবেন। ফলে বাণিজ্য, শক্তি ও শিল্প দপ্তরের কাজ প্রভাবিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ব্রিটেনে তুঙ্গে রাজনৈতিক ডামাডোল, পদত্যাগ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের]

‘পাবলিক অ্যান্ড কমার্শিয়াল সার্ভিসেস ইউনিয়ন’ (PCS) নামের শ্রমিক সংগঠনটি জানিয়েছে, এই ধর্মঘটের মাধ্যমে কর্মীদের ন্যায্য দাবি সরকারের কাছে পৌছে দেওয়া হবে। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মার্ক সেরওটকা বলেন, “যে হারে কস্ট অফ লিভিং বা জীবনধারণের খরচ বাড়ছে, সেই সংকট নিরসনে সরকার কোনও পদক্ষেপ করছে না।” বিশ্লেষকদের মতে, মূল্যবৃদ্ধির আবহে বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্রের কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। বেতন বৃদ্ধি ও আরও উন্নত সুযোগ সুবিধার দাবি জানাচ্ছে তারা। কিন্তু সমস্ত দাবি মানলে রাজকোষে যে পরিমাণ চাপ পড়বে তা সামাল দেওয়ায় চাট্টিখনি কথা নয়। সবমিলিয়ে, হবু প্রধানমন্ত্রীর কাজ অনেকটাই জটিল।

উল্লেখ্য, গোটা ব্রিটেন (Britain) জুড়ে প্রায় পাঁচ লক্ষ দলীয় কর্মীর ভোটের পরেই চূড়ান্ত হয়ে যাবে, ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের (British Prime Minister) পরবর্তী বাসিন্দা কে হতে চলেছেন। সেই সঙ্গে কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব কার হাতে যাবে, সেই বিষয়টিও পরিষ্কার হয়ে যাবে। আপাতত পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া চলছে। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর নির্বচনের ফল ঘোষণা করা হবে।

[আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী হলে বিদ্যুতের বিলে ছাড়, কেজরির পথে হেঁটেই ঘোষণা ঋষি সুনাকের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement