Advertisement
Advertisement

দুষ্কৃতীরা কেড়েছিল সর্বস্ব, দেশবাসী পাশে এসে দাঁড়াল এই বৃদ্ধর

 মানুষ মানুষের জন্য...

Netizen come to the rescue of elderly hawker robbed by miscreants
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 12, 2017 9:41 am
  • Updated:June 12, 2017 9:41 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাস্তাঘাটে লুট বা ছিনতাইয়ের মুখোমুখি যাঁরা হয়েছেন তাঁদের মানসিক যন্ত্রণা সহজে মেটে না। প্রথমে হা-হুতাশ করা। তারপর ভাগ্যকে দুষে অনেকেই দুঃখ ভোলার চেষ্টা করেন। কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে লুটের মাল বা অর্থ মেলে না। আর দেশটির নাম ইন্দোনেশিয়া হলে তো কথাই নেই। দুনিয়ার বৃহত্তম মুসলমান প্রধান দেশে এবার উলটপুরাণ। ৯৪ বছরের এক বৃদ্ধ ফেরিওয়ালার সমস্ত অর্থ কেড়ে নিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। অসহায়ের আর্তনাদ চোখে পড়েছিল এক সহৃদয় যুবকের। নবতিপরের ছবি এবং ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি ভাগ করে নেন। যাতে সাড়া দিয়ে গোটা দেশ ওই বৃদ্ধের পাশে দাঁড়িয়েছে। যতটা অর্থ খোয়া গিয়েছিল তার কয়েক গুন বেশি হাতে পেয়েছেন মানুষটি। ইদের আগে সবথেকে বড় উপহার পেয়ে গেলেন সুরাতমানের নামের ওই বৃদ্ধ।

[সোশ্যাল মিডিয়ায় ইসলামের সমালোচনা, অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ পাক আদালতের]

সুমাত্রার জাম্বি এলাকা সবসময় ভিড়ে ঠাসা। ইদের আগে ভাল বিক্রির আশায় জাম্বি বাজারে চার চ্যাকার ভ্যানে করে কলা বিক্রি করছিলেন সুরাতমান নামে এক বৃদ্ধ। ৯৪ বছরের মানুষটিকে সাহায্যের কথা বলেছিলেন এক গাড়িচালক। বলেছিলেন বিনা পয়সায় তিনি গাড়িতে নিয়ে যাবেন। সেই বিশ্বাসে নবতিপর মানুষটি গাড়িতে উঠতে যান। এই সুযোগ সুরাতমানের পকেট থেকে সমস্ত অর্থ কেড়ে নেয় ওই গাড়িচালক। তাঁকে লাথি মেরে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়ে উধাও হয়ে যায় অভিযুক্ত। এই ঘটনায় সুরাতমানের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে। তাঁর রোজগারের সমস্ত অর্থই যে শেষ। ইন্দোনেশিয়ার মুদ্রায় প্রায় ১ মিলিয়ন রুপিয়া তাঁর খোওয়া যায়। রাস্তায় বসে পড়ে কাঁদতে থাকেন ওই বৃদ্ধ। তাঁর এই অবস্থা দেখে অনেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেও টমি রেজা নামে স্থানীয় এক যুবক অন্য কিছু ভেবেছিলেন। সুরাতমানের বক্তব্য ভিডিও করেন, কিছু ছবিও তুলে নেন। সোশাল মিডিয়ায় সমস্তটা তুলে দেন। যা দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। এরপরই ঘটনা অন্য দিকে মোড় নেয়।

Advertisement

[জলবায়ুর বদলে গরমের সঙ্গে আরও কী বাড়বে জানেন?]

সুরাতমানের দুর্দশা ছুঁয়ে যায় ইন্দোনেশিয়াবাসীকে। অনেকেই নবতিপরকে অর্থ সাহায্যের কথা বলেন। কীভাবে রুপিয়া পাঠাতে হবে তাও তাঁরা জানতে চান। প্রতিবেশী দেশ সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়ার লোকজনও এগিয়ে আসেন। কয়েক দিনের মধ্যেই ৩১ মিলিয়ন রুপিয়া বৃদ্ধের কাছে পৌঁছে যায়। এমনকী স্থানীয় গর্ভনরও  সুরাতমানকে ব্যক্তিগতভাবে আর্থিক সাহায্য করেন। খুশির ইদ সত্যিকারের খুশি বয়ে আনল মানুষটির কাছে। নিজের আর্থিক অবস্থা খারাপ হলেও, বাড়তি অর্থ দুঃস্থদের বিলিয়ে দিতে চান সুরাতমান।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement