সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্প্রতি সংসদের আস্থাভোট পরাজিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। তারপর থেকেই নেপালে(Nepal) তুঙ্গে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। পরবর্তী সরকার গড়া নিয়ে ঘুঁটি সাজাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলি। এহেন পরিস্থিতিতে নতুন সরকার গড়তে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারী। এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসতে পারেন নেপালি কংগ্রেসের নেতা শেরবাহাদুর দেউবা।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বৈঠকে বসেন নেপালি কংগ্রেসের নীতি নির্ধারকরা। সেখানেই শেরবাহাদুর দেউবার নেতৃত্বে সরকার গঠনের দাবি জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সূত্রের খবর, সরকার গড়তে দেউবাকে সমর্থন করবে নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির ‘প্রচণ্ড’ ওরফে পুষ্পকমল দহল এবং মাধব নেপালের নেতৃত্বাধীন সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ। এছাড়া, তরাইয়ের মদেশীয়দের ‘জনতা সমাজবাদী পার্টি-নেপাল’ দলের একটা অংশ দেউবাকে সমর্থন জানিয়েছে। সব মিলিয়ে নেপালি কংগ্রেসের সরকার পর্যাপ্ত গরিষ্ঠতা পাবে বলেই আপাতত মনে করা হচ্ছে। তার পরেও কোনও কারণে সংখ্যা কম পড়লে নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির বেশ কিছু ওলি-বিরোধী সদস্য ইস্তফা দিয়ে দেবেন। তা হলে মোট সাংসদের সংখ্যা কমে যাবে এবং দেউবা সহজেই গরিষ্ঠ অংশের সমর্থন পাবেন। বলে রাখা ভাল, নেপালের সংসদের মোট সদস্য সংখ্যা ২৭৫। এর মধ্যে নেপালি কংগ্রেসের সাংসদ সংখ্যা ৬৩। নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির সংসদ সংখ্যা ৪৯। ফলে মদেশীয়দের সমর্থনে দেউবার সরকার গড়া একপ্রকার নিশ্চিত।
উল্লেখ্য, গোড়া থেকেই চিনপন্থী হিসেবে পরিচিত নেপালের সদ্যপ্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। তাঁর আমলে ভারতের সঙ্গে নেপালের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছিল। সীমান্ত নিয়ে ভারতের সঙ্গে যেমন বিবাদে জড়িয়েছেন ওলি। একের পর এক ভিত্তিহীন মন্তব্য করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তুলেছেন তিনি। এককালের বন্ধু পুষ্পকমল দাহালের সঙ্গেও সম্পর্কে চিড় ধরে ওলির। ফলে দু’ভাগে ভাগ হয়ে যায় নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি। কিন্তু নেপালি কংগ্রেসের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ঐতিহাসিক ভাবে ঘনিষ্ঠ। ফলে মসনদে শেরবাহাদুর দেউবা বসলে আপাতত অনেকটাই স্বস্তি পাবে নয়াদিল্লি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.