সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষ হওয়ার পর থেকেই নেপাল ও পাকিস্তানকে ভারতবিরোধী কাজে লাগাতার মদত দিচ্ছে চিন। সম্প্রতি একটি ঘটনায় ফের তার প্রমাণ গেল! প্রকাশ্যে কোনও ঘোষণা না হলেও উত্তরাখণ্ডের কালাপানি এলাকার কাছ থেকে চিন সীমান্ত পর্যন্ত দীর্ঘ যে রাস্তা হয়েছে তার পিছনে বেজিংয়ের মদত রয়েছে বলেই খবর। বিষয়টির দিকে কড়া নজর রাখছে নয়াদিল্লি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’বছর আগে তিব্বত সীমান্তের কাছে অবস্থিত টিঙ্কার (Tinker) গ্রাম ও ভারত সীমান্তে অবস্থিত ছাঙ্গরু (Chhangroo) গ্রাম পর্যন্ত বিস্তৃত ৮৫ কিলোমিটারের রাস্তাটি ভূমিধসে ধ্বংস হয়ে যায়। এরপর থেকে বহু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল সেখানকার মানুষদের। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভারতের রাস্তা ব্যবহার করতে হতে নেপালের বাসিন্দাদের। গত চার মাসে সেখানে নতুন করে রাস্তা তৈরির কাজ শুরু করে নেপালের সেনাবাহিনী। এর গত সোমবার ওই রাস্তাটির উদ্বোধন করে সুদূরপশ্চিম প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিলোচন ভাট।
এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দারচুলা-টিঙ্গার হাইওয়ে প্রকল্পের অধীনে মহাকালী করিডরে ওই রাস্তাটি তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে ছাঙ্গরু এবং টিঙ্কার গ্রামের বাসিন্দাদের সুবিধা হল। তাঁদের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর যাতায়াতের ক্ষেত্রেও এই রাস্তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। গত চারমাস ধরে প্রায় ১.৮০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে এই রাস্তাটি তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে ভারতের রাস্তার উপর নির্ভরতা কমবে।’
তাঁর এই মন্তব্যের পরেই শুরু হয়েছে জল্পনা। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণ মানুষের অসুবিধা মেটানোর জন্য নয় নেপাল ওই রাস্তা তৈরি করেছে ভারত থেকে চিন সীমান্ত পর্যন্ত এলাকায় সেনা তৎপরতা বাড়ানোর জন্যই। না হলে যে রাস্তা দু’বছর ধরে সারানোর কোনও উদ্যোগ ছিল না তা আচমকা চার মাসে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তৈরি করার মানে কী?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.