সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজতন্ত্রের সমর্থকদের বিক্ষোভ দমনে কঠোর পদক্ষেপ নেপালের কেপি শর্মা ওলির সরকারের। আগেই প্রাক্তন রাজা জ্ঞানেন্দ্রকে গ্রেপ্তারির দাবি তুলেছিল শাসক জোটের নেতারা। এবার রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র পার্টির (আরপিপি) শীর্ষনেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের পথে প্রশাসন। জনতাকে ক্ষেপিয়ে তোলার দায়ে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, দুই শীর্ষনেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হতে পারে, এমনকী যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে তাঁদের। প্রভাবশালী দুই নেতা সামশের রানা এবং রবীন্দ্র মিশ্রকে দেশ না-ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত শুক্রবার রাজতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে বিক্ষোভ উত্তাল হয় নেপাল। যার পর প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির সরকার দাবি করে, প্রাক্তন রাজা জ্ঞানেন্দ্র শাহ-ই ষড়যন্ত্র করে ক্ষেপিয়ে তুলছেন সমর্থকদের। এরপর রাজার নিরাপত্তায় কাটছাঁট করে গণতান্ত্রিক সরকার। শুক্রবারের বিক্ষোভের আগে ২৫ জন রক্ষী নিযুক্ত ছিলেন। তা কমিয়ে ১৬ জন করে দেওয়া হয়েছে। সেই সময় জ্ঞানেন্দ্রকে গ্রেপ্তারির দাবি তুলেছি শাসক জোট। শেষ পর্যন্ত প্রাক্তন রাজাকে গ্রেপ্তার না করা হলেও আরপিপি-র সহ-সভাপতি রবীন্দ্র এবং সাধারণ সম্পাদক রানা-সহ শতাধিক অভিযুক্তকে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে আগেই গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। আদালতে রানা আবেদন করেন, তিনি যেহেতু ক্যানসার আক্রান্ত, তাই চিকিৎসার প্রয়োজনে তাঁর ভারতে যাওয়া জরুরি। যদিও আপাতত তাঁকে ভারতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। অন্যদিকে নেপালের পার্লামেন্টে সে দেশের প্রাক্তন রাজা জ্ঞানেন্দ্র শাহের পাসপোর্ট জমা রাখার দাবিও উঠেছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে বদলে গিয়েছে নেপালের রাজনৈতিক চরিত্র। ওই বছরের মে মাসে সংবিধান সংশোধন করে ২৪০ বছরের পুরনো রাজতন্ত্র ভেঙে নেপালে প্রতিষ্ঠিত হয় গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা। এর ফলেই পারিবারিক গদি হারান জ্ঞানেন্দ্র শাহ। পাশাপাশি গণতন্ত্রের নেপালে বদলে যায় ধর্মীয় পরিচয়। রাজার আমলে নেপাল ছিল হিন্দু রাষ্ট্র। ২০১৫ সালে অনুমোদিত হয় নতুন ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ সংবিধান। যদিও এখন অতীতে হাঁটতে চাইছে সেদেশের জনতার একাংশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.