ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের ভারতীয় ভূখণ্ড নিজের বলে দাবি করে বিতর্ক উসকে দিল নেপাল। এবার ভারতের কালাপানি, লিপুলেখ ও লিমপিয়াধুরা অঞ্চলকে নিজেদের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করল কাঠমাণ্ডু। মন্ত্রিসভার একটি বৈঠকের পর নেপাল সরকারের মুখপাত্র ও অর্থমন্ত্রী যুবরাজ খাটিওয়াদা জানিয়েছেন যে অনতিবিলম্বে নতুন এই মানচিত্র কার্যকর হবে।
ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সংঘাত বাড়িয়ে নয়া মানচিত্রের কথা ঘোষণা করেন নেপালের বিদেশমন্ত্রী প্রদীপ গিয়াওয়ালি। তিনি আরও জানান, নয়া মানচিত্রটি শীঘ্রই জনসমক্ষে প্রকাশ করবে ভূমিমন্ত্রক। এদিকে, পরিস্থিতি আরও ঘোরাল করে ভারতের ‘দখলে থাকা’ কালাপানি, লিপুলেখ ও লিমপিয়াধুরা অঞ্চলকে ফেরানোর দাবি জানিয়ে নেপালের সংসদে একটি প্রস্তাব পেশ করেছে সে দেশের শাসক কমিউনিস্ট পার্টি।
উল্লেখ্য, মানস সরোবর পর্যন্ত তীর্থযাত্রা আরও সুগম করতে উত্তরাখণ্ড থেকে লিপুলেখ পাস পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার লম্বা ভারতের তৈরি নয়া সড়ক নিয়ে ক্ষুব্ধ নেপাল। ওই সড়ক দেশের সার্বভৌমত্বে আঘাত বলে আগেই তোপ দেগেছে কাঠমাণ্ডু। এবার পরিস্থিতি আরও জটিল করে কয়েকদিন আগে ভারত-নেপাল সীমান্তে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করার কথা জানিয়েছিলেন প্রদীপ গিয়াওয়ালি। তাঁর দাবি, নেপালের জমিতে সড়ক তৈরি করে ভারত দু’দেশের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি লঙ্ঘন করছে। ১৮১৬ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও নেপালের তৎকালীন রাজার মধ্যে স্বাক্ষরিত সুগাউলি চুক্তিতে সাফ বলা হয়েছে মহাকালি নদীর পূর্বের অংশ নেপালের। ১৯৮৮ সালের বৈঠকেও ভারত স্থায়ী সীমান্ত মেনে চলতে রাজি হয়েছিল।
এদিকে, পড়শি দেশের দাবি উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। সড়কটি ভারতীয় জমিতে তৈরি বলে সাফ জানিয়েছে নয়াদিল্লি। বিশ্লেষকদের মতে নেপাল সরকারের গুরুত্ব বেড়েছে চিন সমর্থিত নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান পুষ্পকমল দহাল ওরফে প্রচণ্ডের। বেজিংয়ের নির্দেশে সেই ভারতের বিরুদ্ধে উসকানি দিচ্ছে। একই সঙ্গে ভারতের সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে সাফ জানিয়েছেন, ভারত ও নেপালের মধ্যে গোলমাল বাধানোর চেষ্টা করছে অন্য এক শক্তি। পরোক্ষে তিনি যে চিনের দিকেই আঙুল তুলছেন তা স্পষ্ট। নারাভানের বক্তব্য, কয়েকদিন আগে নেপালের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, মহাকালি নদীর পূর্বের অংশ নেপালের। ভারত সড়ক তৈরি করেছি নদীটির পশ্চিমে। তা সত্ত্বেও কাঠমাণ্ডু প্রতিবাদ করছে। তবে এই সব সমস্যা যে ওরা অন্য কারোর হয় তৈরি করছে সেটা মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে এবং এটা হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.