প্রতীকী ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মানুষ ভার্সাস মহামারী। লড়াই চলছে গত দু’ বছর ধরে। কোভিডের (Covid 19) তৃতীয় ঢেউ ডিঙিয়ে কিছুটা ভাল আছে পৃথিবী। যদিও বিষয়টা সব দেশে একরকম নয়। সম্প্রতি নতুন করে সংক্রমণ বাড়ছে চিনের (China) বহু শহরে। যার পর বেজিং-সহ (Beijing) একাধিক শহরে জারি হয়েছে কড়া বিধিনিষেধ। প্রথম থেকেই চিনের লক্ষ্য ছিল, কঠোর বিধিনিষেধ লাগু করে দেশকে ‘কোভিড-শূন্য’ করা। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ক্রমশ নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছে সেই সংকল্প।
মঙ্গলবার নতুন করে ৫২৮০ জন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন চিনে। আক্রান্তের সংখ্যা গতকালের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। উল্লেখ্য, চিন থেকেই এই গ্রহে মারণ ভাইরাসের সূত্রপাত হলেও, দেশটি বারবার অতি কঠোর বিধিনিষেধ লাগু করলেও সেখানে সংক্রমিতের সংখ্যা বরাবর ছিল কম। কিন্তু গত কয়েকদিনে তা লাগামছাড়া হয়ে উঠেছে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবারের সংক্রমিতের সংখ্যা গত দুই বছরে সবচেয়ে বেশি। অধিকাংশ মানুষ অতিসংক্রামক ওমিক্রনের ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। এই অবস্থায় ১৩টি শহরে লকডাউন জারি করেছে চিন সরকার।
রবিবার থেকেই বিধিনিষেধের জালে কার্যত গৃহবন্দি বেজিংয়ের ১৭ কোটি মানুষ। সব মিলিয়ে দেশের ৩০ কোটি মানুষকে লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে। এইসঙ্গে জারি হয়েছে কঠোর বিধিনিষেধ। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বহু কলকারখানা, শপিংমল। ওষুধ, খাবারের মতো জরুরি দ্রব্য কিনতেই কেবল ঘরের বাইরে বেরতে দেওয়া হচ্ছে নাগরিকদের।
কোভিডে ভয়াবহ পরিস্থিতি হয়েছে ঝিলানেও। মঙ্গলবার শুধু এই প্রদেশেই আক্রান্ত হয়েছেন ৩০০০ জন। হুড়মুড় করে সংক্রমণ বাড়ছে চাংচুন শহরেও। এখানকার ৯০ লক্ষ মানুষকে লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে। পরিস্থিতি ভয়ংকর শেনজেনেরও। গত তিনদিন ধরেই সেখানকার ২ কোটি মানুষ গৃহবন্দি রয়েছেন। শহরের শপিংমলগুলিকে সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, তালা ঝুলছে অফিসে, কলকারখানাতেও। অন্যদিকে বেজিংয়ের মতোই সাংহাইয়ের নাগরিকদের কঠিন বিধিনিষেধের জালে বেঁধে ফেলা হয়েছে। সব মিলিয়ে ক্রমশ ঘোরালো হয়ে উঠছে চিনের মহামারী পরিস্থিতি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.