সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিরোধী নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনির (Alexei Navalny) গ্রেপ্তারিতে বিক্ষোভে উত্তাল রাশিয়া। এহেন রাজনৈতিক ডামাডোলে মস্কোর ‘দমননীতির’ বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারি দিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন (European Union)।
জানুয়ারি মাসের ১৭ তারিখ বার্লিন থেকে মস্কো ফিরতেই গ্রেপ্তার করা হয় নাভালনিকে। তারপর থেকেই রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। পাল্লা দিয়ে প্রতিবাদীদের উপর বাড়ছে পুলিশের চাপ। এপর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে হাজারেরও বেশি মানুষকে। এহেন পরিস্থিতিতে বিশ্বমঞ্চে ক্রমেই একঘরে হয়ে পড়ছে রাশিয়া। কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও। প্রতিবাদীদের উপর ক্রেমলিনের ‘অত্যাচারের’ কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে রবিবার ‘পরবর্তী পদক্ষেপ’ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিদেশমন্ত্রী। একইসঙ্গে, দ্রুত নাভালনির মুক্তির দাবি জানিয়েছে ইউরোপীয় দেশগুলির সংগঠনটি। এদিকে, ইইউ’র সঙ্গে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে আমেরিকা ও ব্রিটেন। মস্কোর উপর কড়া অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার দাবি জানিয়েছেন পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দরজেজ দুদা।
উল্লেখ্য, প্রায় পাঁচ মাস পর জার্মানি থেকে মস্কো ফিরেছেন নাভালনি। তারপরই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাশিয়ার কারা কর্তৃপক্ষ আগেই জানিয়েছিল, ২০১৪ সালের আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি মামলায দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল নাভালনিকে। তবে আদালত তিন বছর জেলের সাজা দিলেও কারাগারে দিন কাটাতে হয়নি তাঁকে। কারণ, দোষী সাব্যস্ত হলেও নাভালনির সাজা মকুব (‘সাসপেন্ডেড সেন্টেন্স’) করে দেওয়া হয়। কিন্তু শর্ত মোতাবেক তাঁকে থানায় বা সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের কাছে সময়ে সময়ে হাজির দিতে হয়। কিন্তু আদালতের বেঁধে দেওয়া শর্ত মানছেন না নভালনি। তাই দেশে ফিরলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে। শুধু তাই নয়, কয়েকদিন আগে ফের একটি দুর্নীতি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। আপাতত আদালতের নির্দেশে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেলে থাকতে হবে নাভালনিকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.