সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়া নয়, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে চিন! এমনটাই মনে করছে আমেরিকা ও ইউরোপের অধিকাংশ দেশ। তাই এবার G7 সামিটে কমিউনিস্ট দেশটির বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান গ্রহণ করল ন্যাটো (NATO) গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি।
গত শুক্রবার অর্থাৎ ১১ জুন থেকে ইংল্যান্ডে শুরু হয় এই সম্মেলন। শেষ হয় ১৩ জুন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন থেকে শুরু করে ফ্রান্স, কানাডা, জাপান, জার্মানি, ইটালির মতো উন্নত দেশগুলির রাষ্ট্রপ্রধানরা তাতে যোগ দেন। ভারচুয়ালি বক্তব্য পেশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (PM Modi)। যদিও ভারত জি৭ গোষ্ঠীর সদস্য নয়, তবুও জনসনের বিশেষ আমন্ত্রণে বক্তব্য রেখেছেন মোদি। ওই সম্মেলন চলাকালীন চিন বিরোধী সুর স্পষ্ট হয়ে ওঠে মার্কিন প্রসিডেন্ট জো বাইডেনের গলায়। তাঁর বক্তব্য, সোভিয়েত ইউনিয়নের আগ্রাসন থেকে ইউরোপকে বাঁচাতে ন্যাটো সামরিক জোট তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এখন সমীকরণ পালটেছে। চিনের ক্রমবর্ধমান সামরিক শক্তি ও আগ্রাসী মনোভাব চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এবার সেই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হবে। বাইডেনের সঙ্গে সহমত হয়ে একটি বিবৃতি জারি করেছে ন্যাটো। সেখানে সাফ বলা হয়েছে, “চিনের উচ্চাকাঙ্খা ও আগ্রাসী মনোভাব আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা ও দীর্ঘদিনের প্রথার প্রতি চ্যালেঞ্জ।”
এদিকে, G7 সম্মেলনের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে চিন। জিনপিং প্রশাসনের কটাক্ষ, ‘কয়েকটা দেশ নিজেদের মধ্যে ছোট্ট দল তৈরি করে মিলেমিশে দুনিয়া শাসন করবে। সেদিন চলে গিয়েছে।’ উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর রাশিয়া-আমেরিকা ঠান্ডা যুদ্ধের সমাপ্তি হয়। তারপর থেকে গত তিন দশকে ক্রমশই উত্থান হয়েছে চিনের। ওয়াকিবহাল মহলের মত, চিনের এভাবে বিশ্বশক্তির অংশ হয়ে ওঠাই সম্ভবত গত ৩০ বছরে বিশ্ব রাজনীতিতে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.