সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনুভব করাই শুধু নয়, পৃথিবী থেকে খালি চোখে তাকে দেখাও যায়। তার উদয় আর অস্তই ঠিক করে দেয়, কখনও সকাল আর কখনই বা রাত। সত্যি কথা বলতে, এ ধরাধামে প্রাণের নেপথ্যে সূর্যই। আর এবার সূর্যের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেবে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার নাসা মহাকাশযান। এখন চলছে শেষ পর্যায়ের গবেষণা। ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই এই কাণ্ড ঘটবে।
[বিশ্বের দীর্ঘতম অট্টালিকা তৈরি হবে নিউ ইয়র্কে]
প্রায় ৬০ বছরের আগের কথা। মহাকাশের সৌরঝড়ের প্রথম পূর্বাভাস দিয়েছিলেন মহাকাশ বিজ্ঞানী ইউজিন পার্কার। তাঁর নামেই এই মহাকাশযানটির নামকরণ করেছে নাসা। অভিযানের নাম ‘সোলার প্রোব প্লাস মিশন’। মার্কিন বায়ুসেনার সহায়তায় ফ্লোরিডা থেকে প্রথমবার মহাকাশে পাড়ি দেবে এই রোবটিক যানটি। ডেল্টা ৪ হেভি লঞ্চ ভেহিক্যালের পরীক্ষামূলক যানটিতে এখন তৃতীয় পর্যায়ের গবেষণা চলছে। মহাকাশ বিজ্ঞানে ইতিহাসে এই প্রথম সূর্যের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিতে চলেছে রোবটিক যান পার্কার সোলার প্রোব। নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, উৎক্ষেপণের পর সোজা সূর্যের করোনায় প্রবেশ করবে মহাকাশযানটি। যা আগে কখনও হয়নি।
মানুষের তৈরি মহাকাশ যান যদি সূর্যের করোনায় প্রবেশ করে, তাহলে নয়া ইতিহাস গড়বে নাসা। সূর্যের প্রবল তাপ থেকে বাঁচতে ওই মহাকাশযান ও তার যন্ত্রাংশগুলি প্রায় সাড়ে চার ইঞ্চি কার্বন কম্পোজিট দিয়ে পুরু বর্ম দিয়ে সুরক্ষিত থাকবে। সূর্যের আবহাওয়া কেমন? তা জানতে প্রায় ৬০ লক্ষ কিমি দূর থেকে নক্ষত্রটিকে প্রদক্ষিণ করবে নাসার মহাকাশযান। অভিযান সফল হলে, সৌরবায়ুর রহস্য, পৃথিবী প্রাণের উৎপত্তি নিয়ে বহু অজানা তথ্য জানা যাবে। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই পার্কার সোলার প্রোব পৌঁছে গিয়েছে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারে। মে মাস থেকে থার্মাল প্রোটেকশন সিস্টেমের (টিপিএস) পরীক্ষা শুরু হবে যানটিতে। তাপ আবরণী অর্থাৎ হিট শিল্ড স্থাপন করা হবে। ১১।৪ সেন্টিমিটারের কার্বন কম্পোজ়িট এই আবরণটু ১,৩৭৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা প্রতিরোধে সক্ষম।
[লাটভিয়ার জলসীমায় রুশ নৌবহর, উড়ল একের পর এক মিসাইল]
সূর্যপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৯।৮ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরেই রয়েছে এই করোনা। আমেরিকার জন হপকিন্স প্রতিষ্ঠানের ফলিত পদার্থবিদ্যার গবেষণাগারে পার্কার সোলার প্রোবের ম্যানেজার অ্যান্ডি ড্রাইসম্যান বলেন, এই অভিযানে সূর্যপৃষ্ঠ (ফোটোস্ফিয়ার অঞ্চল) অপেক্ষাকৃত শীতল হওয়ার কারণ জানা যাবে। প্রসঙ্গত, সূর্যপৃষ্ঠের উষ্ণতা ৫,৫০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো। কিন্তু, পারিপার্শ্বিক অঞ্চলের উষ্ণতা প্রায় ২০ লক্ষ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সবকিছু ঠিকঠাক চললে জুলাইয়ে বেনজির ইতিহাসের সাক্ষী হবে বিশ্ব।
We’re sending a spacecraft to “touch” the Sun and you can send your name along with it! Submit your name for a journey to our closest star with our Parker #SolarProbe this summer. Details on how to add your name to the microchip: https://t.co/D5wI9iP4o5 pic.twitter.com/INtegqZY13
— NASA (@NASA) April 8, 2018
[চিনা ইঞ্জিনিয়ারদের হাতে বেধড়ক মার খেলেন পাক পুলিশকর্মীরা, ভাইরাল ভিডিও ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.