সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের কি মঙ্গল অভিযানের জন্য তৈরি হচ্ছে নাসা? সম্প্রতি সামনে এসেছে ভবিষত্যের মার্স রোভার কনসেপ্ট ভেহিকল। অর্থাৎ কিনা মার্স রোভারের আদলে তৈরি নয়া মহাকাশযান। নাসার সামার অফ মার্স প্রকল্পের প্রচারের খাতিরেই এই নতুন মহাকাশযানের আত্মপ্রকাশ।
মঙ্গল গ্রহের আগামী প্রকল্পগুলি সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে উৎসাহিত করতেই এই উদ্যোগ নাসার। মহাকাশযানটিকে দেখলে মনে হবে কোনও কল্পবিজ্ঞানের বইয়ের পাতা থেকে সরাসরি যেন উঠে এসেছে আমাদের সামনে। কেনেডি স্পেস সেন্টারের ভিজিটরস কমপ্লেক্সে এর প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
[ভারতের এই স্থানে প্রাক্তন সেনা অফিসারদের নুন কিনতে হয় ১৫০ টাকায়]
আসল মার্স রোভারের আদলে তৈরি এই রোভারেও ছোট্ট একটি পরীক্ষাগার আছে। তবে যে মানুষহীন রোভার অভিযানের সঙ্গে পরিচিত আমরা, এখানে রয়েছে তার ব্যতিক্রম। চারটি আসন থাকছে মহাকাশচারীদের জন্য। আর থাকছে রেডিও, থাকছে গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম।
তবে একটা ছোট্ট খবর দি? কোনও সত্যিকারের মঙ্গল অভিযানের জন্য তৈরি নয় এই মহাকাশযান। বরং শিক্ষামূলক ক্ষেত্রে ব্যবহার করার জন্যই এটিকে বানিয়েছে নাসা। লাল গ্রহ সম্পর্কে নতুন প্রজন্মের মধ্যে আগ্রহ জাগিয়ে তুলতেই এই মার্স রোভারের প্রদর্শনী। কেনেডি ভিজিটরস কমপ্লেক্সের জনসংযোগ আধিকারিক রেবেকা শিয়্যারম্যানের কথায়, মঙ্গল নিয়ে নাসার পর্যবেক্ষণকে আরও বিশ্বাসযোগ্য ও সহজবোধ্য করে তুলতেই এই মার্স রোভারকে তৈরি করা হয়েছে। মঙ্গল অভিযানের খুঁটিনাটি জানাবে এই রোভার। যা মানুষকে এই সম্পর্কে আগ্রহী করবে। মার্স রোভার তৈরির পিছনে কারা আছেন, জানেন? হলিউডের বিখ্যাত কল্পবিজ্ঞান বিষয়ক সিনেমা ‘ট্রন: লেগাসি’র ট্রন বাইক বা ‘দ্য ডার্ক নাইট’ ব্যাটমোবাইলের নির্মাতা পার্কার ব্রাদার্স। মাত্র পাঁচ মাসে এটিকে তৈরি করেছেন তারা। তবে অবশ্যই মহাকাশচারীদের পরামর্শ নিয়ে।
[মসজিদে অনুদানের টাকায় সীমান্তে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে পাক জঙ্গিরা]
মার্স রোভারের এই কৃত্রিম মহাকাশযান সৌরবিদ্যুতে চলে। সঙ্গে রয়েছে ৭০০ ভোল্টের ব্যাটারিও। এই রোভার আকাশে না উড়লেও, ভবিষত্যের মহাকাশযানের পূর্বসূরী হিসেবে নাসার প্রকল্পগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে তো বটেই। আর সেখানেই এর সাফল্য।।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.