Advertisement
Advertisement
নাসা

এবার পর্যটকদের জন্য মহাকাশ ভ্রমণের বন্দোবস্ত করছে নাসা, কত খরচ জানেন?

২০২৪ সালের চন্দ্র অভিযানের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের ব্যবস্থা করতেই এই উদ্যোগ।

Nasa opening space station to visitors, round trip to cost $58 million

প্রতীকী ছবি।

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:June 8, 2019 12:06 pm
  • Updated:August 3, 2019 7:25 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশ ও বিদেশে ঘোরাঘুরি করার পরেও একঘেয়ে লাগছে! খুঁজছেন মহাকাশে ঘোরার সুযোগ? তাহলে যোগাযোগ করতে পারেন আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সঙ্গে। কারণ এবার শুধু সরকারি মিশনে থাকা মহাকাশচারীই নয়, পর্যটকদেরও মহাকাশে পাঠানোর উদ্যোগে নিচ্ছে তারা। এর জন্য মহাকাশে থাকা আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনটি ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

[আরও পড়ুন- কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে মোদিকে ফের বৈঠকের প্রস্তাব ইমরান খানের]

শুক্রবার মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা সূত্রে জানানো হয়েছে, ২০২০ সাল থেকে পর্যটকদের মহাকাশে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রথমে বছরে মাত্র দু’বার অল্প কয়েকদিনের সফর করানো হবে। আস্তে আস্তে সেটি একমাস পর্যন্ত বাড়ানো হবে। একমাসের ট্রিপে যাতায়াতের জন্য মাথাপিছু খরচ পড়বে ৫৮ মিলিয়ন ডলার। আর প্রতিদিন দিতে হবে ৩৫ হাজার ডলার করে। তবে প্রতিবছর মাত্র দু’জন পর্যটকই সুযোগ পাবেন মহাকাশে ঘোরার। আর শুধু আমেরিকান নয়, যে কোনও দেশের নাগরিকই নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে করতে পারবেন মহাকাশে ভ্রমণ।

Advertisement

তবে সরাসরি নাসার পক্ষ থেকে পর্যটকদের কাছ থেকে কোনও টাকা নেওয়া হচ্ছে না। বেসরকারি দুটি সংস্থার মাধ্যমে টাকা জমা দিয়ে এই সফরে অংশ নিতে হবে। ২০২৪ সালে চাঁদে অভিযান চালানোর জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। তাই এই ধরনের কাজে স্পেস স্টেশনকে ব্যবহার করে কিছুটা খরচ তোলার চেষ্টা করছে সংস্থাটি।

[আরও পড়ুন- একসঙ্গে উধাও ১৪ টি সিংহ, আতঙ্ক আফ্রিকার ক্রুগার ন্যাশনাল পার্কে]

নাসার চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার জেফ ডিউইট বলেন, “আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনটিকে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগে কোনওদিন এই ধরনের কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। কিন্তু, সংস্থার খরচ চালানোর জন্য এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর ফলে পর্যটকরা যেমন মহাকাশ দেখার সুযোগ পাবেন তেমনি আর্থিকভাবে লাভবান হবে নাসাও।”

আমেরিকার নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি আরও বলেন, “শুধু পর্যটকই নয়, নির্দিষ্ট ভাড়ার বিনিময়ে স্পেস স্টেশনটিতে জায়গা পাবেন বেসরকারি সংস্থার মহাকাশচারীরা। টাকার বিনিময়ে তাঁদের সব ধরনের মেডিক্যাল পরীক্ষা ও মহাকাশের থাকার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে।”

১৯৯৮ সালে রাশিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনটি তৈরি করে নাসা। তবে এখন এটি সম্পূর্ণ তাদের নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। ২০০১ সালে রাশিয়াকে দু’কোটি ডলার দিয়ে প্রথমবার পর্যটক হিসেবে সেখানে গিয়েছিলেন আমেরিকান ব্যবসায়ী ডেনিস টিটো।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement