Advertisement
Advertisement

Breaking News

‘আমেরিকাকে চরম শিক্ষা দেব’, হুমকি যুদ্ধবাজ কিমের

'পরমাণু মিসাইলের হামলায় ছারখার করে দেওয়া হবে সাম্রাজ্যবাদের পৃষ্টপোষক দেশটিকে।'

N Korea's Kim rattles nuke sabre against US
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 8, 2017 3:50 am
  • Updated:August 8, 2017 3:53 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আক্রমণ করলে আমেরিকাকে ‘চরম শিক্ষা’ দেওয়া হবে। একের পর এক পরমাণু মিসাইলের হামলায় ছারখার করে দেওয়া হবে সাম্রাজ্যবাদের পৃষ্ঠপোষক দেশটিকে। সোমবার এমনটাই হুমকি দিল যুদ্ধবাজ রাষ্ট্রনেতা কিম জং উনের উত্তর কোরিয়া। শুধু তাই নয়, রাষ্ট্রসংঘকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পিয়ংইয়ংয় সাফ জানিয়েছে, কোনও মতেই পরমাণু অস্ত্র বানানো বন্ধ করা হবে না।

একের পর এক পরমাণু মিসাইল উৎক্ষেপণ করে আমেরিকা-সহ একাধিক দেশের বিরাগভাজন হয়েছেন কিম। প্রকাশ্যে সমর্থন করলেও ওই যুদ্ধবাজ রাষ্ট্রনায়কের একগুঁয়েমিতে কিছুটা ক্ষুব্ধ বিশ্বস্ত বন্ধু চিনও। এমনই পরিস্থিতিতে, সোমবার ফের পারদ চড়িয়ে হুঙ্কার দেয় উত্তর কোরিয়া। দেশের বিদেশমন্ত্রী রি ইয়ং-হো এক বিবৃতিতে রাষ্ট্রসংঘকে তুলোধোনা করেন। তিনি বলেন, ক্ষমতার অপব্যেবহার করছে রাষ্ট্রসংঘ। মিথ্যে অভিযোগ এনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে পিয়ংইয়ংকে বিপাকে ফেলতে চাইছে ইউএন। শুধু তাই নয় আমেরিকাকে চরম হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, জুলাই মাসেই পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম অান্তর্মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইলের উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। আমেরিকার যে কোনও জায়গায় হামলা চালাতে সক্ষম ওই ক্ষেপণাস্ত্র। এই কথা যেন ভুলে না যায় ওয়াশিংটন।

Advertisement

[পাকিস্তানে ‘জেহাদি কারখানা’র ভয়ঙ্কর তথ্য ফাঁস ফিদায়েঁর]

উল্লেখ্য, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে কিম-সহ উত্তর কোরিয়ার ১১ জন শীর্ষ আধিকারিকের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে আমেরিকা। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে আমেরিকায় কিমের কোনও সম্পত্তি থাকলে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে। পাশাপাশি, মার্কিন নাগরিকরা কিম-সহ নিষিদ্ধ ঘোষিত ১১ জনের সঙ্গে কোনওরকম বাণিজ্যিক লেনদেন করতে পারবেন না। উত্তর কোরিয়ায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য কিম চূড়ান্ত পর্যায়ে দায়ী বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। কিমের শাসনাধীন উত্তর কোরিয়ার মানুষের উপর বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, বাধ্যতামূলক শ্রম এবং নির্যাতন অব্যাহত বলে দাবি করেন মার্কিন সন্ত্রাসবাদ এবং অর্থনীতি বিষয়ক গোয়েন্দা দপ্তর।

সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া নিয়ে একটি বক্তব্য পেশ করেন সিআইএ প্রধান মাইক পমপেও। তিনি বলেন কিমের ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার থেকে তাঁকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে। কিমকে গদিচ্যুত করলে ওই দেশের জনতা আদতে খুশিই হবে। ওই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই এদিন হুঁশিয়ারি দেয় কমিউনিস্ট দেশটি। মার্কিন গোয়েন্দাদের দেওয়া একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, দ্রুত অান্তর্মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র বানানোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া।

[কিম জং উনকে অশ্লীল ভাষায় আক্রমণ ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্টের]

গত ৪ জুলাই আমেরিকা-সহ বিশ্বের প্রায় সব দেশের হুঁশিয়ারিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ব্যালিস্টিক মিসাইল পরীক্ষা করেছিল উত্তর কোরিয়া। কুসং শহরের উত্তর পশ্চিমে বাঙ্গিয়ন এয়ার ফিল্ড থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষা করা হয়। ৫৭৮ মাইল উড়ে তা পড়ে উত্তর কোরিয়া ও জাপানের মধ্যবর্তী সাগরে। দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীই এই তথ্য দেয়। এ পদক্ষেপ থেকে যে সরবে না উত্তর কোরিয়া, তা ফের জানিয়ে রাখলেন কিম।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement