Advertisement
Advertisement

ট্রাম্পকে স্বস্তি দিয়ে পারমাণবিক অস্ত্র নামিয়ে রাখছেন কিম, খুশি নয় জাপান

হঠাৎ এরকম সিদ্ধান্ত কেন নিলেন 'যুদ্ধবাজ' কিম?

N Korea de-escalates nuke tension, Donald Trump expresses relief
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:April 21, 2018 11:21 am
  • Updated:November 1, 2018 3:15 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পারমাণবিক অস্ত্র ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে সবরকম পরীক্ষা বন্ধ করতে রাজি উত্তর কোরিয়ার একনায়ক ‘যুদ্ধবাজ’ নেতা কিম জং উন। সেই সঙ্গে দেশ জুড়ে একাধিক সক্রিয় পরমাণু গবেষণাগারও বন্ধ করে দেবেন বলে ঘোষণা করেছেন তিনি। তাঁর এই সিদ্ধান্তে খুশি চেপে রাখেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিমের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে ট্রাম্পের টুইট, ‘পারমাণবিক বোমা, মিসাইল-সহ সবরকম পরীক্ষা বন্ধ করছে উত্তর কোরিয়া। সে দেশের মানুষ ও বিশ্ববাসীর জন্য এ তো খুবই খুশির খবর। ভবিষ্যতে বৈঠকের আশায় মুখিয়ে রয়েছি।’

[সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে জানানো হয় পাকিস্তানকে, ব্রিটেনে মন্তব্য মোদির]

Advertisement

মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগেই কিম ঘোষণা করেন, ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের আগে দেশ জুড়ে সমস্ত পারমাণবিক পরীক্ষা নিরীক্ষা বন্ধ করা হবে। বন্ধ করে দেওয়া হবে পারমাণবিক গবেষণাগার। আপাতত কোনও নতুন ক্ষেপণাস্ত্রও ছোড়া হবে না। কোরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা কিমকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ‘২১ এপ্রিল থেকে দেশ জুড়ে ইন্টার-কন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল পরীক্ষা বন্ধ হচ্ছে। আমাদের সদিচ্ছা নিয়ে যাতে কোনও প্রশ্ন না ওঠে, সেই লক্ষ্যে দেশের উত্তরে নিউক্লিয়ার টেস্ট সাইটগুলিও বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।’ উত্তর কোরিয়ার রাজনীতিতে এ এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন কিম।

কিন্তু কেন এরকম সিদ্ধান্ত নিতে হল উত্তর কোরিয়াকে? যিনি কথায় কথায় হোয়াইট হাউসকে ছাইয়ে পরিণত করার হুমকি দিতেন, সেই কিমের গলায় উলটো সুর কেন? এই প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে রয়েছে সে দেশের রাজনৈতিক অভিমুখের পরিবর্তন ও তীব্র আর্থিক সংকটের মধ্যে। উত্তর কোরিয়ার শাসক দল ওয়ার্কার্স পার্টি অফ কোরিয়ার সেন্ট্রাল কমিটি দেশে নয়া রাজনৈতিক অধ্যায় শুরু করতে চায়। সেই লক্ষ্যেই ডাকা হয় এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কিমও। সেখানেই স্থির হয়, হানাহানির রাজনীতি, অন্যান্য রাষ্ট্রের সঙ্গে শত্রুতা বজায় না রেখে থেকে বরং বিশ্বশান্তির লক্ষ্যে কাজ করা যাক। ‘চিরশত্রু’ দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুনের সঙ্গেও আগামী শুক্রবার শান্তি স্থাপনের উদ্দেশে বৈঠক ডাকা হয়েছে। শাসক দলের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন।

শুধু দক্ষিণ কোরিয়া নয়, কিম আগামী মে বা জুন মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও আলোচনার টেবিলে বসতে রাজি। দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে বৈঠকের দিকে তাকিয়ে রয়েছে পেন্টাগনও। অন্যদিকে, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে চিরশত্রুদের এই নতুন ভাব-ভালবাসাকে সুনজরে দেখছে না জাপান। জাপানের চিফ অফ ডিফেন্স কিমের এই সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

[ফের সিরিয়ায় হামলা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ অবধারিত, চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি পুতিনের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement