প্রতীকী ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভিনগ্রহে কি সত্যি প্রাণ রয়েছে? রয়েছে কি মানুষের মতো বুদ্ধিমান কোনও প্রাণী? এই প্রশ্নের উত্তর হন্যে হয়ে খুঁজছেন অত্যুৎসাহীরা। উঠে এসেছে নানা ‘কন্সপিরেসি থিওরি’ও। যাঁরা ভিনগ্রহের প্রাণীদের অস্তিত্ব বিশ্বাস করেন, খুঁজে বেড়ান- পোশাকি ভাষায় তাঁদের বলে ‘এলিয়েন হান্টার’। এরকম বহু এলিয়েন হান্টার বিশ্বের নানা প্রান্তে ভিনগ্রহের যান দেখতে পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোড়ন ফেলে দেয় গুগল ম্যাপে দেখতে পাওয়া একটি আজব আকৃতির যানের ছবি।
গুগল ম্যাপ ও গুগল আর্থ ফটোগ্রাফে একটি ছবির দেখা মেলে বছর কয়েক আগে। বিশালাকৃতির একটি ত্রিভুজের মতো দেখতে, উজ্জ্বল আলোয় আলোকিত একটি রহস্যময় বস্তু দেখতে পাওয়া যায়। ওই এক ছবিতেই তোলপাড় হয়ে যায় গোটা বিশ্ব। যাঁরা ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব স্বীকার করেন, তাঁরা দাবি তোলেন, ওই রহস্যময় বস্তুটি আসলে ভিনগ্রহীদের যান। ওই যানে চেপেই তারা পৃথিবীর বুকে নেমেছে। গুগলের তথ্য জানায়, অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছে ওই বস্তুটি। ২০০৭-এ সেটি প্রথম দেখা যায় এবং তারপর ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে নানা সংবাদমাধ্যম, ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবিটিকে পৃথিবীর বুকে আবিষ্কৃত প্রথম ভিনগ্রহী প্রাণীদের অস্তিত্বের প্রমাণ বলে দাবি করে।
কিন্তু অবশেষে ওই গুগল ম্যাপই বস্তুটির আসল রহস্য ফাঁস করল। ত্রিভুজাকৃতির ওই UFO-র সঙ্গে বস্তুত কোনও এলিয়েনের যোগাযোগ নেই। সেটি আসলে আলভার্নিয়া স্টুডিও। বিশালাকার এই স্টুডিও মূলত ভিডিও গেমস ও মিউজিক সিডি তৈরি করে। একইভাবে ২০১১-তে নাসার একটি ফুটেজও জনমানসে বিশেষ সাড়া ফেলে দেয়। নাসার আর্কাইভ থেকে পাওয়া এক ছবিতে আকাশে অস্পষ্ট উড়ন্ত একটি বস্তুর দেখা পাওয়া যায়। যথারীতি অত্যুৎসাহীরা সেটিকে ইউএফও বলে দাবি করেন। যদিও শেষ পর্যন্ত সেই জল্পনাতেও জল ঢেলে দিয়েছেন বৈজ্ঞানিকরা। তাঁরা জানিয়েছেন, ছবিটি আসলে একটি অকেজো স্পেস শাটলের। ২০১১-র মে মাসে মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে খসে পড়ে সেটি। তার আসল ফুটেজও পোস্ট করেছে নাসা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.