Advertisement
Advertisement
Myanmar

বিদ্রোহীদের উপর বিমান হানা বার্মিজ সেনার, মায়ানমারে তুঙ্গে গৃহযুদ্ধ

সংঘর্ষের জায়গায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা।

Myanmar's Military Launches Air Strikes Amid Clashes | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:September 27, 2021 3:57 pm
  • Updated:September 27, 2021 3:57 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মায়ানমারে আরও তীব্রতর হয়েছে গৃহযুদ্ধ। এবার বিদ্রোহীদের শায়েস্তা করতে দেশের উত্তর-পশ্চিমে ভয়াবহ বিমান হানা চালিয়েছে সামরিক জুন্টা। বিদ্রোহীদের ঘাঁটি লক্ষ করে প্রবল বোমাবর্ষণ করে বার্মিজ সেনার ফাইটার জেটগুলি।

[আরও পড়ুন: পাকিস্তানে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল জিন্নার মূর্তি, ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা বালোচ বিদ্রোহীদের]

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম DVB নিউজ পোর্টাল সূত্রে খবর, দেশের উত্তর-পশ্চিমের সাগাইং প্রদেশের পিনলেবু এলাকায় হামলা চালায় সরকারি বাহিনীর যুদ্ধবিমান। একইসঙ্গে বিশাল সেনাদল ওই এলাকায় ঢুকে পড়ে বিদ্রোহীদের ঘাঁটিতে আক্রমণ শানাচ্ছে। স্থানীয়দের মতে, গত শনিবার থেকেই চলছে অভিযান। বেশ কয়েকটি এলাকায় ফোনের লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও। সূত্রের খবর, সরকারি বাহিনীর হামলার পালটা জবাব দিচ্ছে বিদ্রোহীরা। এখনও পর্যন্ত সংঘর্ষে কোনও বিদ্রোহী যোদ্ধার মৃত্যু হয়নি।

Advertisement

গণতন্ত্রের দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল মায়ানমার (Myanmar)। সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন গণতন্ত্রকামী মানুষ। এহেন পরিস্থিতিতে চলতি মাসের শুরুতে জুন্টার উপর চাপ বাড়িয়ে যুদ্ধ ঘোষণা করে মায়ানমারের ‘বিদ্রোহী সরকার’ বা ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট’। পিনলেবুতে চলা লড়াইয়ের বিষয়ে বিদ্রোহী সরকারের তরফে জানানো হয়েছে যে, সংঘর্ষে বার্মিজ সেনার ২৫ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। রকেট, গ্রেনেড-সহ প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র হাতে এসেছে বিদ্রোহীদের। গত সেপ্টেম্বর মাসের ৭ তারিখ জুন্টার বিরুদ্ধে হাতিয়ার তুলে নেওয়ার আরজি জানায় ইউনিটি গভর্নমেন্ট। মিলিশিয়া গ্রুপ বা ‘পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস’কে সরকারি বাহিনীর উপর হামলা চালানোর নির্দেশ দেয় তারা। এবার সেই হামলার জবাবে বিমান হানা চালিয়েছে জুন্টা।

উল্লেখ্য, গত বছর বিরোধীদের পরাজিত করে ক্ষমতায় ফিরেছিলেন আং সান সু কি’র (Aung San Suu Kyi) দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (NLD)। মায়ানমার সংসদের নিম্নকক্ষের ৪২৫টি আসনের মধ্যে ৩৪৬টিতে জয়ী হয় তারা। কিন্তু, রোহিঙ্গা ইস্যু থেকে শুরু করে একাধিক বিষয়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় সু কি সরকারের। নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগও করেছে সামরিক ‘জুন্টা’। তারপরই ফেব্রুয়ারি মাসে শেষমেশ ক্ষমতা দখল করে ফৌজ।

[আরও পড়ুন: আমেরিকার নকল করা যাবে না, দাড়ি কাটা নিয়ে নাপিতদের ফতোয়া তালিবানের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement