Advertisement
Advertisement
Myanmar

জুন্টার উপর চাপ বাড়িয়ে মায়ানমার সেনার ঘাঁটি দখল করল কারেন বিদ্রোহীরা

গৃহযুদ্ধের সূত্রপাত হয়েছে ,মায়ানমারে, দাবি বিশ্লেষকদের।

Myanmar’s Karen insurgents burn another government outpost | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:May 8, 2021 10:39 am
  • Updated:May 8, 2021 10:39 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফেব্রুয়ারি মাসে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই মায়ানমারের (Myanmar) পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে। গণতন্ত্রকামীদের প্রবল বিক্ষোভের পর এবার বার্মিজ সেনার বিরুদ্ধে মোর্চা খুলেছে বেশ কয়েকটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন। সামরিক জুন্টার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক দিয়েছে বেশ কয়েকটি বিদ্রোহী সংগঠন। এবার বার্মিজ সেনার আরও একটি ঘাঁটি দখল করল কারেন বিদ্রোহীরা।

[আরও পড়ুন: পাকিস্তানে ‘গণশত্রু’, আমেরিকায় ‘নায়ক’! লাদেনকে ধরিয়ে দেওয়া চিকিৎসক আজও জেলবন্দি]

জানা গিয়েছে, শুক্রবার মায়ানমার-থাইল্যান্ড সীমান্তে সালউইন নদীর কাছে টাটমাদাও বা বার্মিজ সেনাবাহিনীর একটি ঘাঁটিতে হামলা চালায় বিদ্রোহী সংগঠন ‘কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন’-এর সামরিক শাখা ‘কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’। কয়েক রাউন্ড গুলি চলার পর প্রায় বিনাযুদ্ধে সেনা শিবিরটি দখল করে সংখ্যালঘু কারেন সম্প্রদায়ের বিদ্রোহী সংগঠনটি। এই ঘটনার দিন দশেক আগেই প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে সরকারি বাহিনীর আরও একটি ঘাঁটি দখল করে জ্বালিয়ে দেয় কারেন বিদ্রোহীরা। ফলে রীতিমতো চাপে পড়েছে সামরিক জুন্টা। বলে রাখা ভাল, মায়ানমারের কারেন প্রদেশে দীর্ঘদিন ধরেই স্বশাসনের দাবি জোরাল হচ্ছে। গততান্ত্রিক পদ্ধতিতে আং সান সু কি’র সরকার ক্ষমতায় আসার পর আলোচনার টেবিলে এসেছিল সংগঠনটি। কিন্তু সেনা অভ্যুত্থাননের পর আলোচনা ভেস্তে যায়। কারেন বিদ্রোহীদের উপর লাগাতার বিমান হামলা চালাচ্ছে বার্মিজ সেনা। ফলে দেশটিতে গৃহযুদ্ধের সূত্রপাত হয়েছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকদের একাংশ।

Advertisement

উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে গণতান্ত্রিক সরকারকে সরিয়ে মায়ানমারের রাশ নিজেদের হাতে নেয় সেনাবাহিনী। বন্দি করা হয় কাউন্সিলর আং সান সু কি-সহ নির্বাচিত সরকারের শীর্ষ কর্তাদের। তারপর থেকেই সে দেশে গণতন্ত্রের দাবিতে চলছে তুমুল বিক্ষোভ। পালটা অভিযান শুরু করেছে সেনাবাহিনী। এপর্যন্ত ফৌজের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৭০০জন গণতন্ত্রকামী। এদিকে মায়ানমারে গৃহযুদ্ধের সম্ভাবনা ক্রমেই বাড়ছে।বিশেষ করে গত শনিবারের পর থেকেই। ওই দিন শতাধিক আন্দোলনকারীকে হত্যা করেছিল জুন্টা। তারপর থেকেই মায়ানমারের প্রত্যন্ত এলাকার গেরিলা বাহিনীগুলি সেনার বিরুদ্ধে গোপন প্রতিরোধ শুরু করেছে। ২০ বা তার বেশি সশস্ত্র গেরিলা বাহিনী গর্জে উঠেছে জুন্টার আচরণের বিরুদ্ধে।

[আরও পড়ুন: ভয়াবহ শুট আউট ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোতে, এক পুলিশকর্মী-সহ মৃত ২৫]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement