সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফেব্রুয়ারি মাসে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই মায়ানমারের (Myanmar) পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে। গণতন্ত্রকামীদের প্রবল বিক্ষোভের পর এবার বার্মিজ সেনার বিরুদ্ধে মোর্চা খুলেছে বেশ কয়েকটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন। সামরিক জুন্টার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক দিয়েছে বেশ কয়েকটি বিদ্রোহী সংগঠন। ফলে দেশটিতে গৃহযুদ্ধের সূত্রপাত হয়েছে বলে আশঙ্কা।
রবিবার মায়ানমারের বিদ্রোহী সংগঠন ‘কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন’-এর স্বঘোষিত সেনাপ্রধান কারেন যোদ্ধাদের একসঙ্গে লড়াই করার ডাক দিয়ে একটি খোলা চিঠি লেখেন। ওই চিঠিতে লেফটেন্যান্ট জেনারেল বাও কেয়াও হেহ লেখেন, “৭০ বছরে এমন সুযোগ আমাদের সামনে আসেনি। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বার্মিজ সেনার স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে হবে। আমি সমস্ত কারেন যোদ্ধা ও বিদ্রোহীদের একসঙ্গে লড়াই করার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা একজোট হয়ে দাঁড়িয়ে বার্মিজ সেনার মোকাবিলা করব।” তাঁর চিঠিতে আরও দুই বিদ্রোহী গোষ্ঠী–ডেমোক্র্যাটিক কারেন বুদ্ধিস্ট আর্মি ও কেএনইউ পিস কাউন্সিলের উদ্দেশেও আহ্বান জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয় মায়ানমারের সরকারি বাহিনীতে কর্মরত কারেন জওয়ানদের বিদ্রোহ করার জন্য ডাক দিয়েছেন জেনারেল বাও কেয়াও হেহ। ফলে মায়ানমারে পরিস্থিতি ক্রমে জটিল হচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে গণতান্ত্রিক সরকারকে সরিয়ে মায়ানমারের রাশ নিজেদের হাতে নেয় সেনাবাহিনী। বন্দি করা হয় কাউন্সিলর আং সান সু কি-সহ নির্বাচিত সরকারের শীর্ষ কর্তাদের। তারপর থেকেই সে দেশে গণতন্ত্রের দাবিতে চলছে তুমুল বিক্ষোভ। পালটা অভিযান শুরু করেছে সেনাবাহিনী। এপর্যন্ত ফৌজের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৭০০জন গণতন্ত্রকামী। এদিকে মায়ানমারে গৃহযুদ্ধের সম্ভাবনা ক্রমেই বাড়ছে। তারপর থেকেই মায়ানমারের প্রত্যন্ত এলাকার গেরিলা বাহিনীগুলি সেনার বিরুদ্ধে গোপন প্রতিরোধ শুরু করেছে। ২০ বা তার বেশি সশস্ত্র গেরিলা বাহিনী গর্জে উঠেছে জুন্টার আচরণের বিরুদ্ধে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.