সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিছুটা স্বস্তি পেলেন মায়ানমারের (Myanmar) বন্দি নেত্রী আং সান সু কি (Aung San Suu Kyi)। ইতিমধ্যেই তাঁকে কারাগার থেকে সরিয়ে গৃহবন্দি করা হয়েছে। এবার তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হল পাঁচটি মামলা থেকে। এমনটাই জানিয়েছে মায়ানমারের সরকারি সংবাদমাধ্যম। উল্লেখ্য, মোট ৩৩ বছরের কারাদণ্ডের সাজা ঝুলছে নোবেলজয়ী প্রবীণ নেত্রীর মাথায়।
২০২১ সালে মায়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পরই বন্দি করা হয় সু কিকে। সেই থেকেই তিনি জেলবন্দি। গত সপ্তাহে তাঁকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়ে গৃহবন্দি করা হয়। আপাতত বাড়িতেই রয়েছেন ৭৮ বছরের নেত্রী। তবে কয়েকটি অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলেও এখনও বন্দিই থাকতে হবে তাঁকে। মায়ানমারের রেডিও ও টেলিভিশন সূত্রে এমনটাই জানানো হয়েছে। আর্থিক দুর্নীতি, ভোটে কারচুপি এমনকী ভোটপ্রচারে করোনাবিধি ভাঙারও অভিযোগ রয়েছে নোবেলজয়ী এই নেত্রীর বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে আনা প্রত্যেকটি অভিযোগেই তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। যদিও সু কি প্রতিটি অভিযোগও অস্বীকার করেছেন।
কিন্তু কেন হঠাৎ তাঁর প্রতি কিছুটা নরম মনোভাব দেখাচ্ছে জুন্টা প্রশাসন? আসলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আমেরিকা-সহ বহু দেশই মায়ানমারে গণতন্ত্র বিপন্ন হয়ে পড়ার অভিযোগ তুলে জুন্টাকে কড়া বার্তা দিয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে মায়ানমার-সহ বহু শীর্ষ সেনা আধিকারিকের উপরে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে আমেরিকা। আর্থিক বিধিনিষেধও আরোপ করা হয়েছে। এমতাবস্থায় ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে চেয়েই কি জুন্টা প্রশাসন সু কি’র প্রতি কিছুটা নরম মনোভাব দেখাচ্ছে? প্রশ্ন তুলছে ওয়াকিবহাল মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.