বাংলাদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে আইন না মানার অভিযোগ।
সুকুমার সরকার, ঢাকা: মায়ানমারে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে সেনা-বিদ্রোহী সংঘর্ষ। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে নিরাপত্তারক্ষী-রোহিঙ্গা বিদ্রোহী উভয়ের দিকেই। কিন্তু রাখাইন প্রদেশে চলা সংঘর্ষের আঁচ পড়ছে প্রতিবেশী বাংলাদেশেও। হাজার হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ঢলে চাপ বাড়ছে ঢাকার উপর।
[বাংলাদেশে ডুবল রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নৌকো, তলিয়ে গেল বহু প্রাণ]
সূত্রের খবর, বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার কুতুপালংয়ে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় পাঁচশো রোহিঙ্গা হিন্দু নারী, পুরুষ ও শিশু। এপর্যন্ত রোহিঙ্গা মুসলিমরা হাজারে হাজারে রাখাইন থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিলেও এই প্রথম রোহিঙ্গা হিন্দুদের সেখান থেকে পালিয়ে আসতে দেখা গেল। শরণার্থীরা জানিয়েছেন সীমান্তের ওপারে ফকিরাবাজার হিন্দু গ্রামটিতে ভয়ানক হামলা চালানো হয়েছে। নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে নারী-পুরুষদের।
গা শিউরে উঠার মতো অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন দেনাবালা নামের এক মহিলা। তাঁর বাড়ি ওই ফকিরবাজারেই। তিনি জানান, গভীর রাতে তাঁদের গ্রামে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে এসেছিল হামলাকারীরা। গ্রামে ঢুকেই নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করে তারা। ওই হামলায় মারা পড়ে অনেকেই, প্রাণ বাঁচাতে ভিটেমাটি ছেড়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হন তিনি। বকুলবালা নামে আরও এক মহিলা শরণার্থী জানান, ফকিরাবাজার থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে চিকনছড়িতে তাঁর বাড়ি ছিল। মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন ফকিরাবাজারে। তাঁর স্বামী মেয়েকে দেখার জন্য ফকিরাবাজার যান। সেখানে তাঁর স্বামী, মেয়ে এবং নাতিকে নির্বিচারে হত্যা করে দুষ্কৃতীরা।
মায়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলিমদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ঢাকা। অভিযোগ, সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে শরণার্থীদের প্রবেশ করতে দিচ্ছে পুলিশ। বিবিসি সূত্রে খবর, মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে চলা লড়াই থেকে প্রাণ বাঁচাতে প্রতিদিনই আরও বেশি করে রোহিঙ্গা মুসলিমরা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে। রাষ্ট্রসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এপর্যন্ত ৫৮ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
[উত্তর কোরিয়াকে কড়া বার্তা দিতে যুদ্ধবিমান থেকে ব্যাপক বোমাবর্ষণ আমেরিকার]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.