সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের অভ্যন্তরে নৃশংস হত্যালীলা চালাচ্ছে মায়ানমার (Mayanmar) সেনা। এবার থাইল্যান্ড সীমান্ত লাগোয়া গ্রামে এয়ার স্ট্রাইক (Air Strike) করল তারা। কারণ, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পালিয়ে আসা মানুষজন সীমান্তের এই এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে। এই হামলায় এখনও পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। আহত বহু। তবে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এই ঘটনায় প্রায় ৩ হাজার মায়ানমারবাসী থাইল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছেন।
মায়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান (Coup) ঘটেছে। নির্বিচারে গণতন্ত্রকামীদের হত্যা করছে সেনা। সেনার গুলিতে রক্তে ভাসছে মায়ানমারের বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রাণ বাঁচাতে দেশ ছাড়ছেন অনেকেই। তাঁরা আশ্রয় নিচ্ছেন মায়ানমার-থাইল্যান্ড সীমান্ত লাগোয়া পাপুন জেলার পু নো এলাকায়। এই এলাকাটি নিয়ন্ত্রণ করে কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন নামক একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী। সেনার অত্যাচারে অতিষ্ঠ কয়েকশো মানুষ এই এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার রাত ৮ টা নাগাদ এই এলাকায় আচমকাই বিমান হামলা চালায়। অতর্কিত হামলায় এলাকা ছেড়ে পালান গ্রামবাসীরা। কারেন পিস সাপোর্ট নেটওয়ার্কের তরফে জানানো হয়েছে, প্রান্তিক এলাকায় হামলা চালানোয় যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। মায়ানমার সেনার তরফে অবস্য এ প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে সেনার এই হামলা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে দাবি করছে ওয়াকিবহাল মহল।
২০১৫ সালে মায়ানমার সেনা ও কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়নের মধ্যে একটি সংঘর্ষবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। কিন্তু আন সান সু কি সরকারকে ফেলে সেনা অভ্যুত্থান হওয়ার পরই সেই চুক্তি ভাঙল সেনা। এই ঘটনায় মায়ানমারে গৃহযুদ্ধ বাঁধতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছে ওয়াকিবহাল মহল।
উল্লেখ্য, গত দু’মাস ধরেই গণতন্ত্রকামীদের থামাতে নির্বিচারে তাদের উপরে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু সংখ্যার বিচারে সবচেয়ে নারকীয় হত্যালীলা চলেছে শনিবার। শনিবার একদিনে অন্তত ১১৪ জনের মৃত্যুর পরে একযোগে বারোটি দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর তরফে যৌথ বিবৃতি দিয়ে তীব্র নিন্দা করা হয়েছে জুন্টার (Junta) নিষ্ঠুরতার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.