Advertisement
Advertisement

স্বামীরা বন্দি, চিনা পুরুষদের শয্যাসঙ্গিনী হতে বাধ্য করা হচ্ছে মুসলিম মহিলাদের

চিনে কোণঠাসা সংখ্যালঘু উইঘুর সম্প্রদায়৷

Muslim women ‘forced to share beds’ with male Chinese officials
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:November 16, 2019 9:38 am
  • Updated:November 16, 2019 9:38 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের উপর ক্রমেই বাড়ছে নির্যাতন৷ জিনজিয়াং প্রদেশে উগ্রপন্থা নির্মূল করতে ‘সরকার সমর্থিত’ এই কাণ্ডকারখানায় এবার প্রকাশ্যে এসেছে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ জানা গিয়েছে, চিনা পুরুষদের শয্যাসঙ্গিনী হতে বাধ্য করা হচ্ছে উইঘুর মহিলাদের৷

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘Radio Free Asia’ সূত্রে খবর, কমিউনিস্ট পার্টির প্রচারের অংশ হিসেবে ২০১৭ সাল থেকে ‘ঐক্য এবং পরিবার’ প্রকল্প হাতে নেয় বেজিং। নয়া প্রোগ্রামে হান গোষ্ঠীর চিনা পুরুষদের শয্যাসঙ্গিনী হতে বাধ্য করা হচ্ছে উইঘুর মহিলাদের৷ ওই মহিলাদের স্বামীরা বন্দি রয়েছেন বিভিন্ন ডিটেনশন ক্যাম্পে৷ চিন সরকারের নথিপত্রে উইঘুর পরিবারে থাকা চাইনিজ পুরুষদের ‘রিলেটিভস’ বলে নথিভুক্ত করা হয়েছে। প্রশাসনের দাবি, উইঘুর সম্প্রদায় অধ্যুষিত জিনজিয়াং প্রদেশ থেকে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতেই এই ডিটেনশন ক্যাম্পের ব্যবস্থা৷ এখানে বন্দিদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া ও কম্যুনিস্ট পার্টির প্রতি আনুগত্যের পাঠ দেওয়া হয়৷

Advertisement

জানা গিয়েছে, উইঘুর পরিবারে অনুপ্রবেশ করা হান চাইনিজ পুরুষরা সদস্যদের সঙ্গে কমিউনিস্ট পার্টির রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁদের সঙ্গে নানা বিষয়ে কথা বলেন এবং সমাজপন্থার দিকে পরিবারের সদস্যদের আগ্রহী করে তোলার চেষ্টা করেন। কাশি প্রদেশের ইংজিশা কাউন্টির প্রফেসর ও ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির এক ক্যাডার জানান, তিনি যে জনপদটির তত্ত্বাবধানে রয়েছেন, সেখানে প্রায় ৮০টি পরিবারে হান চাইনিজ পুরুষরা প্রতি দু’মাসে ছয়দিন করে থাকেন। তাঁদের সঙ্গে খাবার খান, দিনরাত তাঁদের সঙ্গে থাকেন। জীবন সম্পর্কে কথা বলে একে অপরের প্রতি অনুভূতি জাগ্রত করার চেষ্টা করেন। বিশেষত শীতকালে একসঙ্গে কথা বলা, খাওয়া ছাড়াও তারা একই বিছানায় ঘুমোন। অভিযোগ, যে সমস্ত উইঘুর মহিলারা ‘ঐক্য ও ফ্যামিলি’ প্রোগ্রামের আওতায় পাঠানো পুরুষদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন তাঁদের ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি করার হুমকি দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, যত দিন যাচ্ছে, চিনে ততই কোণঠাসা হচ্ছে সংখ্যালঘু উইঘুর সম্প্রদায়৷ শিক্ষা দেওয়ার নামে তাঁদের ‘ডিটেনশন ক্যাম্পে’ নিয়ে গিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অত্যাচার চালাচ্ছে চিনা প্রশাসন৷ এমনকী, ক্যাম্পগুলিকে ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান’ আখ্যা দিয়ে, এদের স্বীকৃতিও দিয়েছে বেজিং৷ তবে এ তো হিমশৈলের চূড়া মাত্র। অভিযোগ, জোর করে উইঘুর মুসলিমদের শরীর থেকে হৃদপিণ্ড, কিডনির মতো অঙ্গ বের করে নিচ্ছে চিন।

[আরও পড়ুন: চিনে উইঘুর মুসলিমদের উপর অকথ্য অত্যাচার, কড়া পদক্ষেপ আমেরিকার]

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement