সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহিলার সঙ্গে হাত মেলাতে রাজি না হওয়ায় চাকরি থেকে বরখাস্ত হলেন এক শিক্ষক৷ নরওয়ের ওসলোর বছর চল্লিশের ওই স্কুল শিক্ষক মুসলমান সম্প্রদায়ের৷ বৈষম্য করার অভিযোগেই চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে তাঁকে৷
বরখাস্ত ওই স্কুল শিক্ষকের চুক্তির ভিত্তিতে চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন৷ স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তুলনায় অনেক বেশি শিক্ষাগত যোগ্যতাও ছিল তাঁর৷ ওই শিক্ষকের পড়ানো ভাল লাগত ছাত্রছাত্রীদেরও৷ যথেষ্ট পরিশ্রমীও ওই শিক্ষক৷ তাই ওই শিক্ষকের চুক্তির সময়সীমা বাড়ানোর কথাও ভাবছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ৷ এরই মাঝে স্কুলে তাঁর এক সহকর্মী শিক্ষিকার সঙ্গে করমর্দন করতে অস্বীকার করেন তিনি৷ তার ওই ব্যবহারে অবাক হয়ে যান ঘটনাস্থলে উপস্থিত সকলেই৷ স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, ধর্মীয় বৈষম্যের জন্যই শিক্ষক এহেন আচরণ করেছেন৷ শিক্ষকের এমন আচরণ যথেষ্ট নিন্দনীয় বলেও দাবি তাঁর সহকর্মীদের৷ একজন উচ্চশিক্ষিত শিক্ষকই যদি ধর্মীয় বৈষম্য করেন, তবে ছাত্রছাত্রীদের কাছে কী বার্তা যাবে? প্রশ্ন তুলেছেন অন্যান্য অভিভাবক ও শিক্ষক শিক্ষিকারাও৷ স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, ইতিমধ্যেই স্কুলের বহু খুদে পড়ুয়াই নাকি অন্যান্যদের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করতে চাইছে না৷ তারা প্রত্যেকেই বরখাস্ত হওয়া ওই শিক্ষকের মতোই আচরণ করছে৷ ছাত্রদের কাছে যাতে কোনও ভুল বার্তা না পৌঁছয়, তাই শিক্ষককে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷
ধর্মীয় বৈষম্যের অভিযোগকে যদিও নস্যাৎ করেছেন বরখাস্ত হওয়া ওই শিক্ষক৷ তাঁর দাবি অকারণেই চাকরি হারাতে হয়েছে তাঁকে৷ কার সঙ্গে হ্যান্ডশেক করবেন বা করবেন না, তা সম্পূর্ণ তাঁর ব্যক্তিগত বিষয় ৷ স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি আদৌ ভিত্তিহীন কী না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ ওই শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলেছে স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিরা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.