সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মৃত্যুদণ্ডের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফকে। এই আবেদন গ্রহণ করেছে পাকিস্তানের শীর্ষ আদালত।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মুশারফের হয়ে ৯০ পাতার একটি পিটিশন দাখিল করেছেন তাঁর আইনজীবী। ইতিমধ্যে মোশারফকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া বিশেষ আদালতের রায়কে অসাংবিধানিক বলে রায় দিয়েছে লাহোর হাই কোর্ট। তারপরই মুশারফের আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আইনজীবী মারফৎ করা আবেদনে মুশারফ জানিয়েছেন, গুরুতর অসুস্থ থাকায় ইসলামাবাদের বিশেষ আদালতে শুনানি চলাকালীন তিনি হাজিরা দিতে পারেননি । এটা কোনওভাবেই ইচ্ছাকৃত নয়। শারীরিক অক্ষমতার কথা মেনে নেওয়ার পরও তাঁর অনুপস্থিতিতে রায়দান করে নিম্ন আদলত। মুশারফের দল ‘অল পাকিস্তান মুসলিম লিগ’-এর প্রাক্তন সভাপতি মহম্মদ আমজাদ জানিয়েছেন, অজ্ঞাত রোগে ভুগছেন প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট। ক্রমেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। এহেন পরিস্থিতিতে কোনওভাবেই রাষ্ট্রদোহের মামলার শুনানিতে তাঁর হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত পাকিস্তানের মসনদে ছিলেন মুশারফ। কারগিল যুদ্ধে হারের পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের উপর হারের দায় চাপিয়ে রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন তিনি। তাঁর আমলেই পাক-অধিকৃত কাশ্মীর-সহ গোটা উপমহাদেশে ভারত বিরোধী নাশকতা তুঙ্গে পৌঁছায়। ২০০১ সালে ৯/১১ হামলার পর মুশারফের নেতৃত্বে আফগানিস্তানে মার্কিন লড়াইয়ে যোগ দেয় পাকিস্তান। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, তাঁর আমলে বেশ মজবুত হয় পাক অর্থনীতি ও সামরিকবাহিনী। ২০০২ সালে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হলেও প্রতিশ্রুতিমতো সেনাপ্রধানের পদ ছাড়তে অস্বীকার করেন মুশারফ। ২০০৭-এ তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের হওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে বরখাস্ত করেন তিনি। তারপর থেকেই পারভেজ মুশারফের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে বিক্ষোভের হাওয়া বইতে থাকে। ঘরোয়া রাজনীতির চাপে বাধ্য হয়ে ইস্তফা দিতে হয় তাঁকে।
[আরও পড়ুন: বছরের শুরুতেই সাফল্য, পৃথিবীর কক্ষপথে পৌঁছল ইসরোর স্যাটেলাইট GSAT-30]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.