সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পানামা কাণ্ডে গদিহারা নওয়াজ শরিফ। ডামাডোলে পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক সরকার। ফের সামরিক অভ্যুত্থানের আশঙ্কা সন্ত্রাসবাদের আঁতুরঘরে। এমনই পরিস্থিতিতে পাক রাজনীতির মূলস্রোতে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে ‘জামাত-উদ-দাওয়া’ (জেইউডি)। উল্লেখ্য, জন্মলগ্নের পর থেকেই পাক রাজনীতিতে পরোক্ষভাবে প্রভাব খাটিয়ে এসেছে মৌলবাদী শক্তি। এবার মুম্বই হামলার মূলচক্রী হাফিজ সইদের জেহাদি সংগঠনটি ‘মিল্লি মুসলিম লিগ’ নাম নিয়ে পাক রাজনীতির মূলস্রোতে প্রবেশ করতে চলেছে। ১৪ আগস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস। সূত্রের খবর, সেদিনই লাহোরে একটি অনুষ্ঠানে দলটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করতে চলেছে জঙ্গি সইদ।
[হাফিজ সইদ সন্ত্রাসবাদী, ৯ বছর পর স্বীকার পাকিস্তানের]
সম্প্রতি পানামা কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টের ধাক্কায় প্রধানমন্ত্রীর গদি হারিয়েছেন নওয়াজ শরিফ। ক্ষমতায় এসেছেন শাহিদ আব্বাসি। তবে সেনার প্রভাব ছাপিয়ে দেশ চালাতে ‘সিভিলিয়ান গভর্নমেন্ট’ কতটা সক্ষম তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। পাক আর্মি ও আইএসআইয়ের কল্যাণে ফের সামরিক শাসন যে চালু হবে না নিশ্চিত ভাবে একথা কেউ বলতে পারছে না। এমনই পরিস্থিতিতে হাফিজ সইদের মতো জঙ্গিনেতাদের রাজনীতিতে প্রবেশ মানেই ভারতের জন্য অশনিসংকেত। পাক সেনা ও আইএসআইয়ের প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে সইদের সঙ্গে। বিশেষজ্ঞদের মতে একবার পাক রাজনীতিতে জাঁকিয়ে বসতে পারলে গণতন্ত্রের প্রহসন নিয়ে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ আরও বাড়িয়ে তুলবে ওই জঙ্গি।
[কাশ্মীরের ‘স্বাধীনতা’ চেয়ে অর্থ সংগ্রহে হাফিজ সইদের সংগঠন]
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার মূলচক্রী হাফিজ সইদের ভারত ও আমেরিকার ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় শীর্ষে। ওই জঙ্গির মাথার দাম ১০ মিলিয়ন ডলার ধার্য করেছে ওয়াশিংটন। অবশেষে চাপে পড়ে জঙ্গিসংগঠন লস্কর-ই-তৈবার প্রধান সইদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয় পাকিস্তান। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই থেকেই তাকে নজরবন্দি করে রাখা হয়েছে। তবে যাই হোক না কেন, জনপ্রতিনিধি রূপে নির্বাচিত হয়ে এলে কি এবার হাফিজ সইদের মতো জঙ্গির সঙ্গে ‘প্রটোকল’ বজায় রাখতে হবে। পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা চালাতে গিয়ে কি এবার জঙ্গিনেতাদের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে সৌজন্য বিনিময় করতে হবে ভারতীয় প্রতিনিধিদের?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.