সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাবালক ছেলেকে ধর্ষণ করার এবং দেহ ব্যবসা করানোর অভিযোগে এক মহিলা ও তার স্বামীকে চরম শাস্তি দিল জার্মানির একটি আদালত৷ ওই মহিলাকে সাড়ে বারো বছরের কারাদণ্ড ও ওই মহিলার স্বামীকে বারো বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে৷ সম্পূর্ণ ঘটনায় কার্যত নড়ে গিয়েছে গোটা জার্মানি৷ প্রশ্ন উঠেছে, দেশে শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে৷
[অত্যাধুনিক রুশ কায়দায় এবার যুদ্ধকৌশল শিখবে পাক সেনা]
ঘটনার সূত্রপাত তিন বছর আগে৷ জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে প্রথম স্বামীর মৃত্যুর পর দ্বিতীয় বিয়ে করেন অভিযুক্ত মহিলা বেরিন তাহা৷ দশ বছরের ছেলেকে নিয়ে দ্বিতীয় স্বামী, ক্রিশ্চিয়ান লাইসের সঙ্গেই থাকত সে৷ কেবল থাকতই না, নাবালক ছেলের উপর কার্যত পাশবিক অত্যাচার চালাত দম্পতি৷ অভিযোগ, ২০১৫ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত নাবালকটিকে প্রত্যেকদিন ধর্ষণ করত তারা৷ বেশ কিছু ধর্ষণের ভিডিও শুট করে তা তারা আপলোড করে বিভিন্ন পর্নগ্রাফি সাইটে৷ এমনকী, নিজের ছেলেকে দিয়ে দেহব্যবসাও করাত ওই দম্পতি৷
[অন্য ধর্মের মহিলার সঙ্গে করমর্দনে আপত্তি, চাকরি খোয়ালেন মুসলিম শিক্ষক]
জানা গিয়েছে, শিশুসুরক্ষা সংক্রান্ত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির তৎপরতায় সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসে দম্পতির কুকীর্তি৷ বেরিন তাহা ও ক্রিশ্চিয়ান লাইসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ নাবালকটিকে পাঠান হয় স্পেশ্যাল হোমে৷ দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি উঠেছে৷
শুক্রবার দুই অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করে পুলিশ৷ সমস্ত তথ্য-প্রমাণ তুলে ধরেন সরকারি আইনজীবী৷ এরপরেই দুই অভিযুক্তকে মোটা অঙ্কের জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক৷ পাশাপাশি, নাবালকটির মা’কে দেন সাড়ে বারো বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ এবং তার দ্বিতীয় পক্ষের স্বামীকে বারো বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন৷ গোটা ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে গোটা জার্মানি৷ একজন মা কীভাবে নিজের সন্তানের সঙ্গে এমন করতে পারেন, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন৷ দেশে শিশুদের নিরাপত্তা কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.