ফাইল চিত্র
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়েহের হত্যাকাণ্ডের পিছনে রয়েছে মোসাদ। সূক্ষ্ণ অপারেশন চালিয়ে তাদেরই দুজন এজেন্ট বোমা রেখে যান। সেই বিস্ফোরণেই মারা যান হানিয়েহ। আর একাজে ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা নিয়োগ করেছিল ইরানেরই দুই নাগরিককে! এমনটাই দাবি ইরান সেনার। সেদেশের দুই নিরাপত্তা কর্মীই একাজ করে দেশ থেকে পালিয়ে যান বলে জানা যাচ্ছে সেই সূত্র থেকেই।
জানা গিয়েছে, গত মে মাসে ইরানের (Iran) প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির শেষকৃত্যের সময়ই এই অপারেশনের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু সেই সময় তা স্থগিত রাখতে হয় অত্যধিক ভিড়ের দিকে নজর রেখে। কেননা সেক্ষেত্রে ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি ছিল। এর পর বদল করা হয় পরিকল্পনায়। আর তার পরই মোসাদের ওই দুই এজেন্ট ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কর্পসের গেস্টহাউসের তিনটি আলাদা ঘরে বোমা রেখে আসেন। এখানেই হানিয়েহ থাকবেন বলে খবর পাওয়ার পরই এই পরিকল্পনা করা হয়।
ইতিমধ্যেই সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে অল্প সময়ের মধ্যেই লুকিয়ে সেখানে ঢুকে বোমা রেখে বেরিয়ে আসছেন মোসাদের (Mossad) এজেন্টরা। এবং এর পর তাঁরা দেশ ছেড়েই পালিয়ে যান। তবে দেশ ছাড়লেও ‘সূত্র’ ছিল এখানেই। আর তারই সাহায্যে দূর থেকে রিমোট টিপে হানিয়েহকে খুন করা হয়। ইরান সেনা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এটা ইরানের জন্য অপমানজনক এবং বিরাট নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বিষয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে আইআরজিসি।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল, ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছেন হামাসের (Hamas) রাজনৈতিক প্রধান। তবে পরে জানা গিয়েছে, ঘরের মধ্যে বোমা ফেটেই মৃত্যু হয়েছে হানিয়েহ এবং তাঁর নিরাপত্তারক্ষীর। ইরানের প্রশাসনিক কর্তারা সাফ জানিয়েছেন, ঘরের মধ্যে বহু আগে থেকেই বোমা রাখা হয়েছিল। এত সূক্ষ্মভাবে বোমা রাখা হয়েছিল যে, গেস্ট হাউজের পাশের ঘরগুলো সেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। কিন্তু হামাস নেতার ঘর সাংঘাতিকভাবে ধ্বংস হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.