সংবাদ প্রতিদদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মশার জ্বালায় অস্থির পাকিস্তান! বন্যাবিধ্বস্ত দেশটিতে ক্রমে ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে ম্যালেরিয়া। সূত্রের খবর, পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে মশক বাহিনীকে রুখতে পর্যাপ্ত মশারি পর্যন্ত নেই প্রশাসনের হাতে। তাই এবার ভারত থেকে মশারি আমদানি করতে চাইছে ইসলামাবাদ।
প্রবীণ পাকিস্তানি সাংবাদিক গুলাম আব্বাস শাহ দাবি করেছেন, ম্যালেরিয়ার প্রকোপ রুখতে ভারত থেকে ৭১ লক্ষ আমদানি করতে চাইছে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রক। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “পাকিস্তানে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার পর সরকারের কাছে ভারত থেকে মশারি আমদানি করার অনুমতি চেয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। পাকিস্তানের ২৬টি প্রদেশে প্রায় ৭১ লক্ষ মশারির প্রয়োজন রয়েছে।” তিনি আরও জানান, ম্যালেরিয়ায় (Malaria) সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছে সিন্ধ ও বালোচিস্তান প্রদেশ। বুধবার পাক প্রশাসন জানিয়েছে, বন্যার জেরে চর্মরোগ, ম্যালেরিয়া ও ডায়েরিয়ার মতো রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩৫৪ জন মানুষের।
উল্লেখ্য, গত কয়েক সপ্তাহের প্রবল বন্যায় কার্যত সমুদ্রের চেহারা নেয় পাকিস্তান। এহেন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ধাক্কায় দেশটির খাদ্যভাণ্ডার কার্যত শূন্য হয়ে পড়েছে। হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে অস্তরয় শিবিরে মাথা গুঁজেছেন। শুধু তাই নয়, মহেঞ্জোদারোর ধ্বংসস্তূপ চিরকালের জন্য কালের গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে । পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে চলতি মাসের শুরুর দিকে দেশটিতে পৌঁছন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস। একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সবচেয়ে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে দেশ। এই অবস্থায় এবার সামনে এল ভারতের থেকে মশারি আমদানির খবর।
প্রসঙ্গত, বন্যায় বিপর্যস্ত পাকিস্তানের (Pakistan) পাশে দাঁড়িয়ে সমবেদনা জানিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শোনা যাচ্ছিল, বন্যা দুর্গত সাধারণ মানুষের জন্য পাকিস্তানে ত্রাণ পাঠাতে পারে ভারত। এহেন পরিস্থিতিতেও কাশ্মীর (Kashmir) প্রসঙ্গ টেনে এনে ভারতের সঙ্গে বিরোধিতা খুঁচিয়ে তোলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। কাশ্মীরে হত্যালীলা চালাচ্ছে ভারত, শুধুমাত্র সেই কারণেই ভারতের থেকে সাহায্য নেওয়া যাবে না বলে জানান তিনি। কিন্তু পরিস্থিতির চাপে বাধ্য হয়ে এবার কি তাঁকে ভারতের কাছেই হাত পাততে হবে?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.