Advertisement
Advertisement

মঞ্চে নাটকের সময় অভিনেতাকে কে মারল থাপ্পড়?

ইংল্যান্ডের ল্যাঙ্কশায়ার শহরের ঐতিহ্যশালী নাট্য মঞ্চ হল মোরকাম্ব উইন্টার গার্ডেন্স৷ ১৮৯৭ সালে নির্মিত হয় ঐতিহ্যশালী নাটকের হলটি৷ তখন এটি পরিচিত ছিল ভিক্টোরিয়া প্যাভিলিয়ন থিয়েটার নামে৷ অনেক বিখ্যাত নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে এই মঞ্চে৷ ফ্র্যাঙ্ক ম্যাটচ্যাম, ম্যাগনাল এবং লিটলউড নামে তিন স্থপতির প্রচেষ্টায় প্রাণ পায় এই থিয়েটার হলটি৷ হলটির সুদৃশ্য বাইরের দেওয়ালটি ছিল ইট এবং টেরাকোটা নির্মিত৷ এই হলটিতে সুদৃশ্য অডিটোরিয়াম ছাড়াও ছিল বার, বলরুম, হাজার দু’য়েক লোক একসঙ্গে বসে দেখতে পারতো নাটক৷

MORECAMBE WINTER GARDENS GHOST HUNTS
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 12, 2016 2:43 pm
  • Updated:May 12, 2016 2:45 pm  

ইংল্যান্ডের ল্যাঙ্কশায়ার শহরের ঐতিহ্যশালী নাট্য মঞ্চ হল মোরকাম্ব উইন্টার গার্ডেন্স৷ ১৮৯৭ সালে নির্মিত হয় ঐতিহ্যশালী নাটকের হলটি৷ তখন এটি পরিচিত ছিল ভিক্টোরিয়া প্যাভিলিয়ন থিয়েটার নামে৷ অনেক বিখ্যাত নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে এই মঞ্চে৷ ফ্র্যাঙ্ক ম্যাটচ্যাম, ম্যাগনাল এবং লিটলউড নামে তিন স্থপতির প্রচেষ্টায় প্রাণ পায় এই থিয়েটার হলটি৷ হলটির সুদৃশ্য বাইরের দেওয়ালটি ছিল ইট এবং টেরাকোটা নির্মিত৷ এই হলটিতে সুদৃশ্য অডিটোরিয়াম ছাড়াও ছিল বার, বলরুম, হাজার দু’য়েক লোক একসঙ্গে বসে দেখতে পারতো নাটক৷ এছাড়া ছিল সিওয়াটার বাথ নেওয়ার বন্দোবস্ত৷ কিন্তু অর্থের অভাবে ১৯৭৭ সালে বন্ধ হয়ে যায় নাটকের হলটি৷ ১৯৮২ সালে নষ্ট হয়ে যায় বলরুমটিও৷ ১৯৮৬ সালে অছি পরিষদ গঠন করে নাটকের হলটি পুননির্মাণের চেষ্টা চলছে৷ ইংল্যাল্ড মানেই রহস্য৷ শহরগুলিতে ঘুরলে মনে হয় যেন ইতিহাসের এক একটা পাতা চোখের সামনে পাল্টে পাল্টে যাচ্ছে৷ বাদ যায় না ল্যাঙ্কশায়ার শহরও৷ আর এই শহরের ঐতিহ্যশালী স্থাপত্য বলতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে মোরকাম্ব নাটকের হলের ছবি৷

নাটকের হলটিকে কেন বলা হয় ইংল্যান্ডের অন্যতম ভৌতিক স্থান?

Advertisement

haunt2

যে সব নাট্যপ্রেমী এই হলে গিয়েছেন তাঁরাই স্বীকার করেছেন কিছু একটা আছে এই নাটকের হলে বুদ্ধিতে যার ব্যাখ্যা চলে না৷ হলটি যখন চালু ছিল তখন যাঁরাই গিয়েছেন এখানে তাঁরাই বলেছেন অন্ধকার হলেই নাটকের হলটির পরিবেশ সম্পূর্ণ বদলে যায়৷ আচমকাই যেন আবহাওয়া ভারী হয়ে আসে৷ যিনি অশরীরির অস্তিত্ব মানেন না তিনিও এখানে এলে অস্বস্তি বোধ করবেন৷ তাঁরও শিরদাঁড়া দিয়ে ঠান্ডা স্রোত বয়ে যেতে বাধ্য৷ অনেকে দোতলার ব্যালকনিতে আবছা ছায়ামূর্তি দেখেছে বলে দাবি করেছে৷ হলের ফাঁকা করিডরে অদৃশ্য কেউ আবার হাত ধরেও টেনেছে৷ মঞ্চে অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীরা আবার অদৃশ্য কোন ব্যক্তির থাপ্পড়ও খেয়েছেন৷ আচমকা ঘটা ঘটনার পর তাকিয়ে দেখা গিয়েছে সব ভোঁ ভাঁ৷ কেউ কোথাও নেই৷ কেউ কেউ বলেন অডিটোরিয়ামে দেখা যেত এক অনামী নৃত্যশিল্পীর ভূতকে, খ্যাতি না পেয়ে  যার অপঘাতে মৃত্যু হয়৷ অনেকে একটি বাচ্চা ছেলের ছায়ামূর্তিও দেখেছে৷ প্যারানর্মাল অ্যাক্টিভিস্ট বা পরাবাস্তববিদরা এই নাটকের হলটিতে অনেক অদ্ভুত আওয়াজ, রহস্যজনক ছায়ামূর্তি দেখেছেন৷ তাই একসময় খ্যাতির শিখরে থাকলেও এখন এই হলটির আশপাশে যেতেও বুক কাঁপে অতি সাহসী নাট্যপ্রেমিদেরও৷ তাই যাবেন নাকি একবার নাট্যপ্রেমী ভূত দর্শন করতে?

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement