সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাক অধিকৃত বালুচিস্তান থেকে চিনারা নাবালিকা, কিশোরী ও মহিলাদের কিনে নিয়ে যাচ্ছে বলে আগেও অভিযোগ উঠেছিল।যদিও বিষয়টি নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামায়নি ইমরান খানের
প্রশাসন। আসলে এর ফলে তাদের পরম মিত্র চিন যাতে কোনওভাবেই অসন্তুষ্ট না হয় সেটাই লক্ষ্য ছিল। এবার গত দু’বছরে পাকিস্তানের ৬২৯ জনের বেশি নাবালিকা ও মহিলাকে চিনের বাজারে বিক্রি করার অভিযোগ উঠল। আর এই অভিযোগ আনা হয়েছে খোদ পাক প্রশাসনের তরফে। বেহাল অর্থনীতির কারণে তৈরি হওয়া পরিস্থিতির জন্যই দেশে নারী পাচারের ঘটনা বাড়ছে বলেও আক্ষেপ তাদের।
পাক প্রশাসনের তরফে এ সম্পর্কে বিস্তারিত তদন্ত করা হয়েছে। তারপরই একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে তারা। তাতে দেখা যাচ্ছে, ৬২৯ জনের বেশি নাবালিকা ও মহিলাকে বিয়ের জন্য কিনে নিয়ে গেছে চিনের নাগরিকরা। গরিব ঘরের মেয়েদেরই এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি টার্গেট করা হচ্ছে। চিনের বাজারে পাক সুন্দরীদের বেশ কদর আছে। তাই অভাব রয়েছে অথচ বাড়িতে সুন্দরী মেয়ে আছে এরকম পরিবারের প্রতিই নজর রাখছে পাচারকারীরা। তারপর তাদের চিনে থাকা প্রভুদের কাছে খবর ও ছবি পাঠাচ্ছে। সেখান থেকে সবুজ সংকেত মিলতেই মেয়ের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে টাকার বিষয়ে কথাবার্তা শুরু করে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, গত জুন মাস পর্যন্ত নারী পাচারকারীদের বিষয়ে কড়া মনোভাব নিয়েছিল ইমরানের সরকার। কিন্তু, তারপর বেজিং অসন্তুষ্ট হতে পারে ভেবে কড়াকড়ি শিথিল করা হয়েছে। ফলে ফের পোয়াবারো নারী পাচারকারীদের। মনের সুখে নিজেদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও গত অক্টোবর মাসে ফয়সালাবাদের একটি আদালতে নারী পাচারের অভিযোগ ৩১ জন চিনা নাগরিককে দোষী সাব্যস্ত করে। কিন্তু, তারপরও বিচার চাইতে এগিয়ে আসা মানুষের সংখ্যা খুব কম। পাচারকারীরা তাদের ভয় ও অর্থের লোভ দেখিয়ে চুপ করিয়ে রেখেছে বলেই অভিযোগ পাকিস্তানের মানবাধিকার কর্মীদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.