Advertisement
Advertisement

Breaking News

বিশ্বের করোনা পরিসংখ্যান

করোনা পরিসংখ্যানে রেকর্ড বিশ্বেও, একদিনে নতুন করে সংক্রমিত আড়াই লক্ষের বেশি

বিশ্বজুড়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা ছুঁয়ে ফেলল ৬ লক্ষ।

More than 2.5 lakh people in the world infected with Coronavirus in a single day

বিশ্বজুড়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা ছুঁয়ে ফেলল ৬ লক্ষ।

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:July 19, 2020 1:03 pm
  • Updated:July 19, 2020 1:28 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বজুড়েই থাবা আরও চওড়া হচ্ছে করোনা ভাইরাসের (Coronavirus)। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের রেকর্ড এবার ভারত ছাড়াও বেশ কয়েকটি দেশের। সর্বোপরি বিশ্বে একদিনের মোট সংক্রমিতের সংখ্যাটাই ছাপিয়ে গেল আগেকার সমস্ত পরিসংখ্যানকে। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বলছে, স্রেফ একদিনে বিশ্বের নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৬০ হাজার মানুষ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মতে, এতগুলো মাসের মধ্যে বিশ্বে করোনা সংক্রমণের একদিনে এই সংখ্যাই সর্বোচ্চ। আমেরিকা, ব্রাজিল ছাড়াও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে আফ্রিকা মহাদেশে হু হু করে রোগ ছড়িয়ে পড়া।

শুধু সংক্রমণেই নয়, করোনার ছোবলে বিশ্বে মৃত্যুর সংখ্যাটাও চিন্তার ভাঁজ চওড়া করছে বিশেষজ্ঞদের কপালে। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৭৩৬০ জনের, যা গত ১০ মে’র পর সর্বোচ্চ। আর এ নিয়ে ৬ লক্ষ ছুঁয়েছে মৃতের সংখ্যা। WHO’র মতে, একদিন আগেও সংখ্যাটা এতটা ছিল না। এটাও নতুন রেকর্ড।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘ইউহানের গবেষণাগার থেকেই ছড়িয়েছে করোনা’, এবার ‘প্রমাণ’ পেশ করে দাবি আমেরিকার]

এবার চোখ রাখা যাক বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দিকে। COVID সংক্রমণের তালিকার শীর্ষে এখনও নিজের জায়গা ধরে রেখেছে আমেরিকা। দক্ষিণের প্রদেশগুলোতে প্রশাসনের ঢিলেঢালা মনোভাব, জনগণের মধ্যে কম সচেতনতার ফল ভুগতে হচ্ছে। নিউ ইয়র্কের তুলনায় এখন ফ্লোরিডা, টেক্সাসে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটা বেশি। ফ্লোরিডাকেই এই মুহূর্তে আমেরিকার করোনা সংক্রমণের উপকেন্দ্র ধরা হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ১০ হাজার মানুষের দেহে মিলেছে করোনার জীবাণু। ৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফ্লোরিডায় এই মুহূর্তে মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ছুঁয়ে ফেলেছে। টেক্সাসের একটি কাউন্টিতে ৮৫ জন শিশু করোনা পজিটিভ। হাসপাতালগুলোও এবার নিজেদের সীমাবদ্ধতার কথা স্বীকার করে জানাচ্ছে, আইসিইউতে আর রোগীদের জন্য ঠাঁই নেই। তা সত্ত্বেও জনগণের মধ্যে মাস্ক পরার চল কম। তার অন্যতম কারণ দেশের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোভাব। তাঁর মতে, মাস্ক পরাটা ব্যক্তি স্বাধীনতার পরিপন্থী, তাই তিনি মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে নারাজ।

[আরও পড়ুন: ইরানে করোনা সংক্রমিত আড়াই কোটি মানুষ! প্রেসিডেন্ট রুহানির দাবি ঘিরে শোরগোল]

আমেরিকার পর চোখ পড়বে ব্রাজিলের দিকে। সেখানে আবার করোনা সংক্রমণের পিছনে রাজনীতি দেখছেন অনেকেই। দেশের প্রেসিডেন্ট নিজেই করোনায় আক্রান্ত। হোম আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা চলছে তাঁর। ওদিকে, চিকিৎসা পেতে সাধারণ মানুষের কার্যত নাকানিচোবানি দশা। কারণ, উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাব। প্রথম থেকে প্রেসিডেন্ট করোনা ভাইরাসকে মারণ ক্ষমতাকে একেবারেই গুরুত্ব দেননি। তাই গড়ে তোলা হয়নি যথাযথ পরিকাঠামোও।

তৃতীয় স্থানে ভারত। এখানে ১০ লক্ষ ৭৭ হাজার ছাড়িয়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। মৃত্যু প্রায় ২৭ হাজার। আর তার ঠিক পরেই রয়েছে আফ্রিকা মহাদেশ। যেখানে COVID-19 অনেক দেরিতে হানা দিলেও অল্প দিনের মধ্যেই পরিস্থিতি ভয়াবহ করে তুলেছে। তুলনায় ইউরোপের অবস্থা ভাল। তবে ব্যতিক্রম ব্রিটেন। সেখানে নতুন করে লকডাউন জারি করতে চান না প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। যিনি নিজেও একজন করোনাজয়ী। এছাড়া স্পেন, ইটালি, ফ্রান্সে জনজীবন এই মুহূর্তে অনেকটাই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছ। তবে নতুন করে সংক্রমণের আশঙ্কা থাকছেই।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement