সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিজাব বিদ্রোহে অগ্নিগর্ভ ইরান। নীতি পুলিশের মারে তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুর পরই গর্জে উঠেছে হাজার হাজার মানুষ। চাপের মুখে নীতি পুলিশ বাহিনীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল তেহরান। কিন্তু এবার নাকি ফের রাস্তায় নেমে তাণ্ডব শুরু করেছে ইসলামিক দেশটির কুখ্যাত এই বাহিনী।
ইরানের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র সাইদ মন্তাজারআলমাহদি বলেন, “রাজধানী তেহরান-সহ অন্যান্য শহরের রাস্তায় নীতি পুলিশ টহল দিচ্ছে। মহিলাদের জন্য নির্দিষ্ট পোশাকবিধি মেনে চলা হচ্ছে কি না, তা দেখতে নজরদারি চালাচ্ছে।” রাজধানী তেহরান থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এখন এই ছবিই দেখা যাচ্ছে।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা সূত্রে জানা গিয়েছে, নীতি পুলিশের কর্তারা মহিলা এমনকী পুরুষদেরও মাঝে মাঝে পোশাকবিধি নিয়ে পর্যবেক্ষণ করছেন। এই কাজে খুবই কঠোর তাঁরা। মহিলাদের হিজাব সঠিক কায়দায় পরতে বলা হচ্ছে। শালীন পোশাক পরতে বলছেন। যদি কোনও ক্ষেত্রে মহিলারা এই পোশাকবিধি না মানেন তখনই তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হচ্ছে। তাঁদের আটক করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পুলিশের মারে মৃত্যু হয় মাহসা আমিনির। জানা যায়, হিজাব না পরায় তাঁকে আটক করেছিল পুলিশ। হেফাজতে থাকাকালীনই নীতি পুলিশের মারে মৃত্যু হয় মাহসার। তারপর থেকেই হিজাব বিরোধিতায় উত্তাল হয়ে ওঠে ইরান। শুরু হয় তুমুল সরকার বিরোধী প্রতিবাদ। প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও সুপ্রিম লিডার আলি খামেনেইর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানায় হাজার হাজার মানুষ। প্রতিবাদীদের কণ্ঠরোধ করতে বহু মানুষকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়।
মূলত, এই মৃত্যুদণ্ড ব্যবহার করা হচ্ছে সমাজে ভীতি প্রদর্শনের জন্য। গত বছরের তুলনায় এই বছর ফাঁসির সংখ্যা কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে ইরানে। পরিসংখ্যান বলছে, এ বছর এখনও পর্যন্ত ৩৮৭ জনকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে ইরানে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.