সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চার্জে ছিল মোবাইল ফোন। আচমকা সেটি ফেটে যাওয়ায় একসঙ্গে চোখ ও তর্জনী খোয়ালো নাবালক। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ফোনটি সম্পূর্ণ ঝলসে গিয়েছে। ফোনটি ফাটার সঙ্গে সঙ্গেই মেঝেতে ছিটকে পড়ে নাবালক। ওই নাবালকের নাম মেং জিসু। তার ডান হাতের তর্জনীটি উড়ে গিয়েছে। দুর্ঘটনাটি ঘটার সময় স্প্লিন্টার ছিটকে এসে মেংয়ের ডান চোখে পড়ে। এর জেরে আংশিক দৃষ্টিহীনতার শিকার হয়েছে সে। একই ভাবে বুকে হাতেও গেঁথে যায় অজস্র স্প্লিন্টার। এই অবস্থাতেই বেশ কিছুক্ষণ ঘরের মধ্যে অচেতন হয়ে পড়েছিল। বোন ঘরে এসে দাদকে পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার শুরু করে। এরপর তড়িঘড়ি আহত মেংকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাটি ঘটেছে চিনের গুয়াংক্সি প্রদেশে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, জখম মেংয়ের বেশ কয়েকটি অস্ত্রোপচার হয়েছে। ডানচোখের স্প্লিন্টার গুলি বেরিয়েছে। স্প্লিন্টারের ক্ষততে চোখের অবস্থা খুব খারাপ। সুস্থ হলেও আংশিক দৃষ্টিহীনতায় ভুগবে মেং। দুর্ভাগ্যবশত ডানহাতের তর্জনী ছাড়াই বাকি জীবনটা কাটবে। তর্জনীর বিচ্ছিন্ন অংশটির খোঁজ মিললেও সেটিতে প্রচুর ক্ষত রয়েছে। তাই হাতের সঙ্গে জোড়া দেওয়া অসম্ভব। তবে সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বুকের গেঁথে যাওয়া স্প্লিন্টারগুলি আলাদা করা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, বাড়িতে ফোনটি চার্জে বসিয়েছিল মেং। এই সময়ই একটা জরুরি ফোন আসে। তাই চার্জে থাকাকালীনই ফোনটি ব্যবহারের চেষ্টা করে সে। চার্জারে প্রায় হেলান দিয়েই কথা বলছিল মেং। এমন সময়ই তার হাতের মধ্যে ঘটে বিস্ফোরণ। সঙ্গে সঙ্গেই মেঝেতে ছিটকে পড়ে মেং। উড়ে যায় ডান হাতের তর্জনী। ডানদিকের গালে ফোন ঠেকিয়ে চলছিল আলাপচারিতা। তাই স্প্লিন্টার গিয়ে ঢোকে ডান চোখেও। দু’বছরের পুরোনো ফোনটি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছিল। তারপরেও একপ্রকার জোর করে সেটি দিয়েই কাজ চালাচ্ছিল মেং। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ফোনটি হল ভিটি-ভিফাইভনাইন। এটি মোবাইল সংস্থা হুয়া তাং-এর পুরোনো মডেল। বাজারে এখন আর এর কোনও অস্তিত্ব নেই। এহেন দুর্ঘটনার খবরে সংশ্লিষ্ট সংস্থার তরফে কোনও রকম বিবৃতি পাওয়া যায়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.