সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শ্বেতাঙ্গের হাতে কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যুতে বিক্ষোভের আঁচ ছড়ায় বহুদূর। প্রতিবাদের সেই আঁচ আমেরিকাবাসীকে ভুলিয়ে দিয়েছিল করোনা ভাইরাসের আশঙ্কা। তবে ফ্লয়েডের মৃত্যুর প্রতিবাদ যে এত সহজে থামবেনা তা বোঝা গিয়েছিল অনেক আগেই। যার জেরে বন্ধ করে দেওয়া হল মিনিয়াপোলিস (Minneapolis) পুলিশ বিভাগ।
মিনিয়াপোলিস পুলিশ বিভাগের অফিসার ডেরেক শভিনের হাঁটুর চাপেই শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যান জর্জ ফ্লয়েড। কিন্তু মৃত্যুর আগে ফ্লয়েডের শেষ কথা ‘আমি শ্বাস নিতে পারছি না, দম বন্ধ হয়ে আসছে’ তা বার বার প্রতিধ্বনি হতে থাকে বিক্ষোভকারীদের মনে। ফলে দেশ জুড়ে দাবানলের আকার নেয় কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার প্রতিবাদ। মিনেসোটা সিটি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট লিসা বেন্ডর (Lisa Bender ) এক সংবাদসংস্থাকে সাক্ষাৎকার দিয়ে জানিয়েছেন, “আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি মিনিয়াপোলিস পুলিশ ডিপার্টমেন্ট বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। পরে ফের নতুন করে এই ডিপার্টমেন্ট তৈরি করা হবে। মানুষ ও কমিউনিটির সুরক্ষার নতুন মডেল নিয়ে আমরা ফের এই ডিপার্টমেন্ট চালু করব।”
কাউন্সিলের সদস্য আলোন্দ্রা কানো (Alondra Cano) টুইট করে বলেন, “মিনেসোটা সিটি কাউন্সিলের সদস্যদের মধ্যে গরিষ্ঠ অংশের সম্মতি নিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বর্তমানে মানুষের প্রতি পুলিশের যে ব্যবহার, তাতে এভাবে কাজ চলতে পারে না। পুলিশকে আরও অনেক বেশি নমনীয় ও সংবেদনশীল হতে হবে।”
গত ২৫ মে মিনেসোটাতে জর্জ ফ্লয়েড নামের ওই কৃষ্ণাঙ্গ যুবককে হেফাজতে নেওয়ার সময় রাস্তাতেই তাঁর গলায় নিজের হাঁটু দিয়ে চেপে রাখেন শ্বেতাঙ্গ পুলিশকর্মী ডেরেক শভিন। বারবার জর্জ আকুতি সত্ত্বেও কিছুতেই পা তোলেননি ডেরেক। এইভাবে কিছুক্ষণ থাকার পরে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান জর্জ। তবে মিনিয়াপোলিস পুলিশ বিভাগ বন্ধ করে দেওয়ার পরেই কি থেমে যাবে এই প্রতিবাদ? ফের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে আমেরিকা? সেই উত্তর এখনও অজানা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.